|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারপ্রতি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে উচ্চ আদালতে। ৭ই সেপ্টেম্বর, সোমবার জনস্বার্থে এই রিট করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। রিটকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এটি উপস্থাপন করেন।
আবেদনে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় কার কী দায়, কার অবহেলা বা কার ভুল তা খুঁজে বের করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও এসপিসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার জানান, তাদের এই রিটের ওপর মঙ্গলবার শুনানি হবে হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে।
এর আগে গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন অন্তত ৫০ জন মুসল্লি। সেদিন রাতেই এদের মধ্যে অত্যন্ত দগ্ধ ৩৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চিকিৎসাধীন দগ্ধ ১১ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
৬ই সেপ্টেম্বর রোববার এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি হতাহতদের পরিবারপ্রতি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বঃপ্রণোদিত নির্দেশনা জারির জন্য আবেদন জানান।
রিট আবেদনে বলা হয়, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা গ্যাসলাইন লিকেজের বিষয়টি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। কিন্তু তিতাস গ্যাসের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন লাইন মেরামতের জন্য। সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তাই রিটে এ ঘটনার জন্য কাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে, তা নির্ধারণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোনের লাইন নিয়মিত দেখভালের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।