অনলাইন প্রতিবেদক, না.গঞ্জ
মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সদর ও বন্দর দুই উপজেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল থেকে কেউ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। কেউ অহেতুক বাসা থেকে বের হলেই তার উপর চলবে প্রশাসনের কঠোর অ্যাকশন।
রোববার (৫ এপ্রিল) রাতে জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন ড. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দিন বলেন, আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর,ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানগুলোকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই এলাকাগুলোর মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, এখন থেকে আমরা জিরো টলারেন্স। কোনো এলাকা থেকে কেউ বের হবে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহির ও প্রবেশ করতে পারবে না। এখন নারায়ণগঞ্জ বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমরা কঠোর থাকবো।
এই সিদ্ধান্তের আগে নারায়ণগঞ্জে করোনা সংক্রমণ ব্যধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আগেই পুরো জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখে পৃথক বিবৃতি দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ১১ জন, এরমধ্যে ৩ জন সুস্থ, ২জন মারা গেছে ও ১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ৩০শে মার্চ ঢাকার কূর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দরের এক নারী মারা যান। এরপর গত শনিবার ৪ঠা এপ্রিল সকাল ৯টায় ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে সাইদ মাতবর নামে আরও একজন মারা যান।
