সারাবেলা প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জঃ
করোনার ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা আজ (রোববার ২৬ এপ্রিল) থেকে চালু হয়েছে।
শনিবার বিকেএমইএ ও বিজিএমএ’র সাথে সরকারের বিভিন্ন দফতর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় সীমিত পরিসরে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের সকল গার্মেন্টস কারখানার নিটিং, ডাইং ও স্যাম্পল সেকশন চালু করার ।এমন সিদ্ধান্তের পর রোববার সকালেই জেলার বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট কারাখানা চালু করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ।
মালিক পক্ষের দাবি, করোনার সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ সব ধরনের নিয়ম কানুন মেনেই কারখানা চালু করেছে তারা।তারা বলেন, কারখানার মাত্র ২০ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগদান করেছে এতে করে শ্রমিকদের জটলা হওয়ার কোন আশংকা নেই।
করোনার হটস্পট চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ শহরের পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মমূখী হচ্ছে অনেক গার্মেন্ট শ্রমিক।গার্মেন্ট শ্রমিক জুমেলার সাথে কথা বললে তিনি জানান, পেটের দায়ে কামে যাই, এক বেলা খাওন আরেক বেলার খাওন নাই। গেল দুই মাসের বেতন পাই নাই সুপারভাইজারে ফোন পাইয়া কামে যাইতাছি। আরেকজন শ্রমিক সানিয়া জানান, ভাই কাজ না করলে তো টাকা পাওয়া যাবেনা মালিকের কথামত কাজে না গেলে চাকরীও থাকবেনা। আমাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে লাভ নাই।
এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, সরকারের নির্দেশক্রমে বিকেএমইএ ও বিজেএমই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজ থেকে নিটিং ও ডায়িং কারখানা চালু করার। সেই সাথে গার্মেন্টের স্যাম্পল সেকশন সীমিত আকারে শুরু করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। আর কাটিং এবং সুইং সেকশন চালু হবে ২ মে থেকে।
মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্য দিয়ে গার্মেন্ট কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তকে সচেতন মহলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন সিদ্ধান্ত নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রকোপ আরও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন তারা।
এসএম/এসএম
