|| অনলাইন প্রতিনিধি, মাদারীপুর ||
কল পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম-পিপিই বিক্রি করায় তিন যুবককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার রাতে মাদারিপুর সদরে অভিযান চালিয়ে নকল এসব স্বাস্থ্যসরঞ্জামসহ তিন যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত এদের জরিমানা ও অনাদায়ে কারাদণ্ড দেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসেন আদালতের নেতৃত্ব দেন। দণ্ডিত তিন যুবক সদর উপজেলার লাভলু মোল্লার ছেলে ফয়সাল মোল্লা, সিদ্দিক রহমানের ছেলে জনি ও আলী মাতুব্বরের ছেলে রাসেল মাতুব্বর।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে নকল পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), গ্লাভস ও জীবাণুনাশক বিক্রি করছে এমন অভিযোগে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে সদর হাসপাতালের সামনে থেকে হাতেনাতে এই ৩ যুবককে আটক করা হয়। সেখান থেকে অর্ধশত নকল পিপিই, হাজারের বেশী নকল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের তিনজনেক ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মাদারীপুর জেলার সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. খলিলুর রহমান বলেন, করোনার পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হয় এমন কোন উপকরণ খোলা বাজারে বিক্রি করা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই তিনযুবক ফরিদপুর থেকে এসে মাদারীপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারের খোলা স্থানে নকলসব উপকরণ বিক্রি করে। যাদের কাছে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো বৈধতাপত্র ছিলনা।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তিন যুবককে আটক করে। তারা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে তাদের জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ভোক্তা অধিকার আইনে ওই তিনযুবককে জরিমানা করা হয়েছে।#