|| সারাবেলা প্রতিনিধি,সাভার ||
ঢাকার অদূরে ধামরাইতে আলাদা নৌকা ডুবিতে প্রাণ গেছে চারজনের। এদের মধ্যে দাদা-নাতনি ও কলেজ ছাত্রী রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছে এক স্কুলছাত্রী। তাকে উদ্ধার করতে ধামরাই ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল চেষ্টা করছে। আশুলিয়াতে নদীতে গোসলে নেমে মারা গেছে কিশোর সুজ্জল।
মঙ্গলবার ৪ঠা আগষ্ট দুপুরে ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামে ও সূয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক গ্রামে নৌকা ডুবিতে মর্মান্তিক মৃত্যুর এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামে হাকিম আলীর বাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে যায়। যে কারনে তিনি পরিবারের লোকজন নিয়ে নৌকা করে বাড়ি থেকে উপজেলার শরিফবাগ এলাকায় আসার সময় মাঝ বিলে পৌঁছলে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির পানিতে নৌকা ডুবে গেলে বিলের পানিতে ডুবে মারা যান দাদা হাকিম আলী (৭০) ও নাতনি মুন্নি আক্তার (৮)। সাঁতার জানায় মুন্নির মা বেঁচে যান।
অপরদিকে উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক গ্রামে হিরা ফকিরের বাড়িতে নেত্রকোনা থেকে বোন ও ভাগ্নিরা ঈদের পরের দিন বেড়াতে আসে। দুপুরে নৌকা করে চারজন বেড়াতে যায়। এসময় প্রচন্ড বৃষ্টি ও বাতাসে নৌকা ডুবে যায়। এতে কলেজ ছাত্রী আফিয়া আক্তার (২০) ও শারমিন আক্তার (২১) ডুবে মারা যায়। দশম শ্রেনীর ছাত্রী পন্থি আক্তার (১৫) এখনও নিখোঁজ রয়েছে ।
এবিষয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওয়ার হাউজ কর্মকর্তা আলম হোসেন জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা নৌকা ডুবিতে মারা যাওয়া ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারের জন্য ডুবুরিদল কাজ করছে।
আশুলিয়াতে মারা গেছে এক কিশোর
এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধুদের সাথে নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গেছে ১৭ বছরের কিশোর সুজ্জল। মঙ্গলবার ৪ঠা আগষ্ট রাতে ডিইপিজেড শাখার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ার ষ্টেশন ম্যানেজার ওহিদুল ইসলাম ওই কিশোরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সাভারের আশুলিয়ার গোয়ালবাড়ি এলাকায় রাঙামাঠি মহল্লায় নদীতে কয়েক জন কিশোর গোসল করতে নামে । এসময় হঠাৎ ওই কিশোর পানিতে তলিয়ে যায় । পরে স্থানীয়রা খবর দিলে ডিইপিজেড শাখার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে নামে। এরপরে সিদ্দিক বাজার ফায়ার সার্ভিসের এক দল ডুবুরিসহ যৌথ অভিযানে ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।