|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন। গেল চব্বিশ ঘন্টায় আরও ৩৪ জন মারা যাওয়ার মধ্য দিয়ে মৃতের মোট সংখ্যা এখন ৩ হাজার ৫৯১ জন। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন গেল একদিনে ২ হাজার ৭৬৬ জন।
শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনলাইন বুলেটিনের মাধ্যমে সরাসরি এসব তথ্য জানালেও গেল কয়েকদিন ধরে তা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে সংবাদমাধ্যম বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে করোনা পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য জানাচ্ছে সরকার।
আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৩ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের ২৮ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। ৩৩ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভঅগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ৪ সিলেট বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৩ হাজার ৫৯১ জনের মধ্যে ২ হাজার ৮৪১ জন পুরুষ এবং ৭৫০ জন নারী।
আর এসব মানুষের মধ্যে ১ হাজার ৭১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ১৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪৯১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২২৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, মৃতদের মধ্যে ১ হাজার ৭১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৮২৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৩৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ২৭৯ জন খুলনা বিভাগের, ১৩৯ জন বরিশাল বিভাগের, ১৭০ জন সিলেট বিভাগের, ১৪৫ জন রংপুর বিভাগের এবং ৮০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৭টি ল্যাবে ১২ হাজার ৮৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৫৭টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।