করোনা দেশের ১১ জেলায় রোগী বেশি ঢাকায়

সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা
দেশের ১১টি জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের প্রমান মিলেছে। তবে সারাদেশে যে ৮৮ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার অর্ধেকের বেশি ঢাকার। সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিসংখ্যান বলছে, এপর্যন্ত ১১টি জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে, তার মধ্যে রাজধানীর রোগীর সংখ্যা ৫২ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ধারাবাহিকতায় দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৮ই মার্চ। গেল এক মাসের ব্যবধানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। মারা গেছে নয়জন।
প্রায় এক মাসের তথ্য দিয়ে আক্রান্ত জেলার তালিকা তৈরি করেছে আইইডিসিআর। রোববার পর্যন্ত হালনাগাদ এই তালিকা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১১টি জেলায় কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে।
এসব জেলা হচ্ছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, গাজীপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা, কক্সবাজার, শরীয়তপুর, রংপুর ও চট্টগ্রাম। ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি রোগী মাদারীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ১১ জন করে। গাইবান্ধায় শনাক্ত হয়েছে ৫ জন।
এছাড়া গাজীপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা, কক্সবাজার, রংপুর, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রামে একজনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে।
ঢাকায় রোগি সবচে বেশী
ঢাকায় সবচেয়ে বেশি নয়জন করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে রাজধানীর বাসাবোতে। ছয়জন রোগী পাওয়া গেছে মিরপুরের টোলারবাগে। পুরান ঢাকার সোয়ারী ঘাটে তিনজন রোগী পাওয়া গেছে। দুজন করে রোগী পাওয়া গেছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ধানমণ্ডি, যাত্রাবাড়ি, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর, পুরানা পল্টন ও শাহ আলীবাগে।
এছাড়া আশকোনা, বুয়েট আবাসিক এলাকা, সেন্ট্রাল রোড, ইস্কাটন, গুলশান, গ্রিনরোড, হাজারীবাগ, জিগাতলা,কাজীপাড়া, লালবাগ, মিরপুর-১১, মগবাজার, মহাখালী, নিকুঞ্জ, রামপুরা, শাহবাগ, উর্দু রোড, ওয়ারী, উত্তরা এলাকায় ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
“কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু’
রোববার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছিলেন, দেশের কয়েকটি ক্লাস্টার থেকে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা নতুন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ কয়েকটি ক্লাস্টার থেকে এসেছেন বলে জানান তিনি।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেছিলেন, “কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে বলা যায়।”
তিনি বলেন, এসব এলাকা চিহ্নিত করে রোগটি যেন দ্রুত ছড়াতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। তবে মানুষ নিয়ম না মানলে রোগটির বিস্তার ঠেকানো কঠিন হবে বলে সতর্ক করেন তিনি। বলেন, “আমরা এখনও মনে করছি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এটা যদি না করি তাহলে সংক্রমণ কিন্তু ক্লাস্টার থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। সুতরাং সবাইকে অনুরোধ করছি সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।”#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন