|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
তিন হাসপাতালে ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্টের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক, শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ শফি আহমেদের পক্ষে মাহবুব শফিক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের উপ-পরিচালকের পক্ষে কাজী এরশাদুল আলম এসব প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর অসুস্থ জমজ নবজাতককে কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ জমজ নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারী আবুল কালামের স্ত্রী ২ নভেম্বর সকালে অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালের নেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। রাস্তায় সিএনজিতে জমজ সন্তান প্রসব করেন আবুল কালামের স্ত্রী সায়েরা খাতুন। পরে মুগদা ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করেন।
এক পর্যায়ে মুগদা হাসপাতাল তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করেন শিশু দুটিকে। শিশু হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা ভর্তি নেয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবজাতক শিশুদের নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও ভর্তি নেয়নি। অবশেষে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই মারা যায় জমজ নবজাতক। এরপর দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে ন্যায় বিচার চাইতে হাইকোর্টে আসেন তাদের বাবা আবুল কালাম। বিষয়টি হাইকোর্ট নজরে নিয়ে এ আদেশ দেন।