ঢাকার দিকে ছুটছে মানুষ বেশীর ভাগই পোশাক শ্রমিক

|| উপজেলা প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর) ||

সারদেশে করোনা সংক্রমণ এড়াতে চলছে ‘সাধারণ ছুটি’। যানবাহন বন্ধ। এরইমধ্যে খুলেছে রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকার পোশাক কারখানা। দূরের কোন শ্রমিক দিয়ে কারখানা না চালানেরা সরকারি নির্দেশনা থাকলেও কাজ হারানোর শঙ্কায় দূরদূরান্তের শ্রমিকরাও ছুটছেন কর্মস্থলের দিকে।

শুক্রবারও সারাদিন ধরেই শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে ছিল ঢাকামুখি শত শত মানুষ। এদের বেশীর ভাগই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার পোশাক শ্রমিক। প্রধানত ঢাকা ও এর আশপাশের সাভার ও গাজীপুরের কারখানার শ্রমিক এরা।

করোনা ভাইরাসের কারনে কার্যত লকডাউন দেশের বিভিন্ন এলাকা। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরেনি রাজধানী ঢাকাতেও। চলছে না দূরপাল্লার কোন পরিবহন। এরইমধ্যে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা খোলায় চাকরি বাঁচাতে ছুটছে শ্রমিক কর্মচারীরা।

দক্ষিণের জেলা গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ, পোশাক শ্রমিক এবং অন্য কারখানায় কর্মরতদের একটি বড় অংশ গেল কয়েকদিন ধরেই ঢাকায় আসছে। শুক্রবারও তাদের এই কর্মযাত্রা থেমে নেই। পথে পথে ছোট যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে পৌঁছন তারা। এরপর ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন।

যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ‘গাজীপুর যাবেন তিনি। পরিবহন না চলায় ঘাটে এসে পৌঁছতে বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কাজে যোগ দিতে না পারলে চাকরিও হারাতে পারেন তিনি।’ আরেক যাত্রী বলেন,’জীবিকার তাগিদে ছুটতে হচ্ছে। তাই যাচ্ছি।’

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে নৌরুটে সাতটি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। তবে সকাল থেকেই যাত্রীসংখ্যা ছিল তুলনামূলক বেশি। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় পদ্মা পার হতে ফেরিই ছিল একমাত্র ভরসা। চলাচলরত ৭টি ফেরির মধ্যে ২ টি রোরো, ২টি ডাম্প, ২টি মিডিয়াম ও ১টি ছোট ফেরি চলছে। মাত্র এক ঘন্টাতেই লোড হচ্ছে ফেরিগুলো। শুধু ফেরি নয় এই ঝড়বৃষ্টিতে ট্রলারেও পার হতে হচ্ছে অনেককেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন