|| অনলাইন প্রতিনিধি, মাদারীপুর ||
বালু ও মাটি কাটার ব্যবসায়ের চাঁদা না দেওয়ায় বাড়িঘর ভাংচুর ও একজনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়েছে। ক্ষতি করা হয়েছে প্রায় বিশ লাখ টাকার। এই অভিযোগ হামলার শিকার পরিবারের।
ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখারা ইউনিয়নের গোসাইদিয়া গ্রামে। পুলিশ বলছে, গোসাইদিয়ার সিরাজ হাওলাদার ও তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বালু ও মাটি কাটার ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু পাশের শিবচর থানার নিলখী ইউনিয়নে ব্যবসা করতে গেলেই চাঁদা দিতে হয় স্থানীয় হাসা ভুঁইয়া ও তার লোকজনকে।
সম্প্রতি চাঁদার টাকা দেওয়া নিয়ে হাসা ভুইয়ার লোকজনের সঙ্গে সিরাজ হাওলাদারের ছেলে তারিন হাওলাদারের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে হাসা ভুঁইয়া ও তার লোকজন তারিনকে মারধর করে। শুধু মারধরেই থেমে থাকেনি হাসা ভুঁইয়ার লোকজন।
মঙ্গলবার বিকেলে কয়েক দফায় সিরাজ হাওলাদারের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করে তারা। বাড়িঘর ভাংচুরের পাশাপাশি উঠোনে রাখা ৩টি ট্রলি ট্রাক, একটি এক্সকেভেটর, একটি মটরসাইকেলসহ ৬টি গাড়ি ভাংচুর করে। বাধা দিতে গেলে বাড়ির মালিক সিরাজ হাওলাদারকে কুপিয়ে মারাত্ম আহত করে।
সিরাজ হাওলাদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বালু ও মাটির ব্যবসা করে। কিন্তু শিবচরে ব্যবসা করতে গেলেই চাঁদা দাবি করে বসে হাসা ভুঁইয়ার লোকজন। এবারে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালানো হয়। এতে ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি করেছে তারা।
মেয়ে ফারজানা আক্তার নিরু বলেন, ‘আমার বাবা হামলায় বাধা দিলে তাকেও বেধড়ক পেটানো হয়। বাবাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি হামলাকারীদের শাস্তি দাবী করেন।
তবে সিরাজ হাওলাদারের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া ও হামলার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন হাসা ভুঁইয়া।
এব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর ও শিবচর থানার সীমান্ত ঘেঁষা গোসাইদিয়া গ্রাম। সদর থানার ওই গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের বাড়িতে শিবচর থানার হাসা ভুইয়াদের নেতৃত্বে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।