|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ ||
অভিনব উপায়ে প্রতারণা করতে গিয়ে গোপালগঞ্জে ধরা পড়েছে দুইজন। এরা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও পোষ্ট অফিসে গ্রাহক বেশে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা লুটে নিচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ই সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে মেয়াদপূর্তির পর সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকা ও মুনাফা তুলতে যান গ্রাহক হেমলতা বিশ্বাস (৫৫) ও তার স্বামী সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস (৬৬)। ক্যাশ-কাউন্টার থেকে মূল টাকা ১০ লাখ টাকা তুলে ব্যাগে রাখার পর মুনাফার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এই প্রতারকচক্রের কয়েক সদস্য তাদেরকে ঘিরে থেকে পায়ের উপর কিছু খুচরা টাকা ছড়িয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই পায়ের কাছে ছড়ানো টাকার দিকে তাকান তারা। আর এ সুযোগেই প্রতারকচক্র কাউন্টারের উপর রাখা ওই ১০ লাখ টাকার ব্যাগ নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ১লা অক্টোবর সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। গোপালগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে যার যার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন, বরিশালের মূলাদি থানার উত্তর পাতারচর গ্রামের মাওলানা আব্দুল হাই তালুকদারের ছেলে মো. রেদোয়ান তালুকদার (৪০) ও খুলনার রুপসা থানার দেয়ারা পশ্চিমপাড়ার রব শেখের ছেলে মো. আবিদুল হাসান ওরফে মিন্টু শেখ (৪৫)।
এরা দু’জন চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে ইসলামী ব্যাংক, জামালপুরের সোনালী ব্যাংক, রংপুরের আল-আরাফা ব্যাংক, রাজশাহীর অগ্রণী ব্যাংক ও গোপালগঞ্জ পোষ্ট অফিসসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও পোষ্টঅফিসে এধরণের ছিনতাই-প্রতারণা চালিয়ে বহু টাকা লুটে নিয়েছে এবং সেসব স্থানে মামলা রয়েছে। এই প্রথমবারের মতো তারা ধরা পড়েছে বলে স্বীকার করেছে।