|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণসময়ে গেল এক মাস ধরে বন্ধ থাকার পর চালু হতে যাচ্ছে ট্রেন চলাচল। তবে এ পর্যায়ে শুধু মালবাহী ট্রেন চলবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার থেকে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য, শাক-সবজি, খাদ্য ও পচনশীল সামগ্রী পরিবহনের জন্য বিশেষ এই ট্রেন চালু করা হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম -ঢাকা, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা এবং খুলনা-ঢাকা- খুলনা রুটে তিন জোড়া ‘পার্সেল স্পেশাল ট্রেন’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা ১লা মে শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে লকডাউন অবস্থায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য, শাক-সবজি, খাদ্য ও পচনশীল সামগ্রী পরিবহনের জন্য এ ট্রেন চলাচল করবে।”
চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ১০টায়, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১০টায়। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটের ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় এবং ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সোয়া ৩টায়। এ দুটি রুটের ট্রেন সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করবে।
আর খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেন খুলনা থেকে ছাড়বে বিকাল পৌনে ৫টায়, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৩টায়। এটি সপ্তাহের শুক্র, রবি ও মঙ্গলবার চলাচল করবে।
ছোঁয়াচে রোগ কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে গত ২৬শে মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে লকডাউনে যাওয়ার আগেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছিল।
এরপর দুই দফায় বেড়ে সাধারণ ছুটি করা হয়েছে ৫ই মে পর্যন্ত। এই সময়ে অন্য গণপরিবহনও চলছে না। তবে লকডাউনের এক মাস পর শিল্পাঞ্চলগুলোতে পোশাক কারখানাগুলো শর্তসাপেক্ষে খুলেছে। এর মধ্যেই ট্রেন চলাচলের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল রেলওয়ে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বুধবার জানিয়েছিলেন, “ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা তো রাখতেই হবে। কারণ যখনই সরকার বলবে গণপরিবহন চলবে, তখন তো ট্রেনও চলবে। এই সময়টার মধ্যে রেলওয়ের ট্র্যাকগুলো রিপেয়ারিং করতেছি। এই কাজগুলো চলতেছে।”#