কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমাতে বিশ্বজুড়েই সচেতনা অভিযানের বিকল্প নেই

কোভিড-১৯ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের আর্থসামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য-পুষ্টি ও দৈনন্দিন আয়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণসৃষ্ট বিপর্যয়ের ইতিবাচক দিকগুলো হচ্ছে এটি বিশ্বব্যাপী মানুষকে সংঘবদ্ধ ভাবে বাঁচতে এবং সমভাবে দায়িত্ব বন্টন করা শিখিয়েছে।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

কোভিড-১৯ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের আর্থসামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য-পুষ্টি ও দৈনন্দিন আয়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণসৃষ্ট বিপর্যয়ের ইতিবাচক দিকগুলো হচ্ছে এটি বিশ্বব্যাপী মানুষকে সংঘবদ্ধ ভাবে বাঁচতে এবং সমভাবে দায়িত্ব বন্টন করা শিখিয়েছে।

বৃহস্পতিবার এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভলাপমেন্ট ও বাংলাদেশ আরবান হেলথ নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয় আরবান হেলথ পলিসি ডায়ালগ ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমাতে সারাবিশ্বে সচেতনা অভিযানের বিকল্প নেই। যার নেতৃত্ব দিতে হবে প্র্যাকটিসনারদের। শুধু রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। কেননা কমিউনিটি পর্যায়ের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে প্র্যাকটসিনারদের ভূমিকা অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য।

দ্বিতীয় এই আরবান হেলথ পলিসি ডায়ালগ ওয়েবিনারে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘আরবান হেলথ, মাল্টি স্টেক-হোল্ডার পার্টনারশিপ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং কোভিড-১৯’। ওয়েবিনারে মূল আলোচক ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালকের বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভলাপমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শামীম হায়দার তালুকদার।

ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ভবিষ্যতের নগর স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নীতি নির্ধারকদের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ উঠে আসে।

ওয়েবিনারে কথা বলতে এসে বাংলাদেশ সম্পর্কে ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, “বাংলাদেশ একটি চমৎকার দেশ এবং এদেশের মানুষ অত্যন্ত দক্ষ। বিশেষ করে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কোভিড-১৯ এর কঠিন সামাজিক পরিস্থিতিতে যেভাবে দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন সেটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।”

জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শামিম তালুকদার বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি নির্ধারকদের কাছে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য পৌঁছে দিতে চাই। এ লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একটি রিস্ক কমিউনিকেশন প্ল্যান এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার রূপরেখা তৈরি করে বাংলাদেশ সরকার ও নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গণমানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে আবারো পুর্নগঠিত হবে।”

তথ্যসূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন