অনলাইন প্রতিবেদক, মাদারীপুর:
করোনা প্রতিরোধে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কিন্তু এ লকডাউনের ৪দিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা সদর ব্যতিত গ্রামাঞ্চলে নেই কোন এর প্রভাব। গ্রামগঞ্জের লোকজন রীতিমত লকডাউন না মেনে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে অযথা ঘোরাঘুরিসহ দোকান-পাটে আড্ডা দিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত ১১ এপ্রিল কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার ইচাগুড়া গ্রামের এক ব্যক্তিকে করোনা শনাক্ত করা হয়। এতে করে ১১ এপ্রিল বিকালে করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী এক সভায় জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম কালকিনি উপজেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষনা করেন। এরপর থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কঠোর ভুমিকা নিয়ে উপজেলা সদরের লোকজনকে পুরোদমে ঘরে ফেরাতে চেষ্টা অব্যহত রাখেন। কিন্তু থানা পুলিশ যখন উপজেলা সদরের সড়ক দিয়ে ডিউটি পালন করেন খাকেন, তখন মানুষ কোনমতে একটু ঘরমুখি হয়। যখন থানা পুলিশ চলে যান, তখন আবার লোকজন ঘরের বাহির হয়ে যান। অপরদিকে এ ঘোষণাকে উপেক্ষা করে উপজেলার গ্রামগঞ্জের মানুষ নিয়মিত রাস্তা দিয়ে ঘোরাঘুরি করছে এবং টম চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। এ ছাড়া উপজেলার হাটবাজারগুলোতে সামাজিক দুরত্ব না মেনে মানুষের উপচে পড়া ভীর দেখা গেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ঝুঁকি।
মানবাধিকার কর্মী আবির হাসান পারভেজসহ বেশ কয়েকজন বলেন, প্রশাসন এ উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন ঠিকেই কিন্তু তার কোন কার্যকারিতা হচ্ছেনা। মানুষ লকডাউন না মেনে পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে রাস্তাঘাট দিয়ে চলাফেরা করছে। এভাবে চললে করোনা ঝুঁকি আগামীতে আরো বেড়ে যাবে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাছিরউদ্দিন মৃধা বলেন, আমরা থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত মানুষকে ঘরে থাকার জন্য তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত এ উপজলাকে আমরা শতভাগ লকডাউনের আওতায় আনতে পারিনি। তবে আমরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি প্রত্যেক মানুষকে ঘরে ফেরানোর জন্য।
ইমদাদুল হক মিলন/ সসা/নাআ/ সেখা
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/download-1-2.jpg?fit=300%2C156&ssl=1)