করোনার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া যুবকদের পাশে থাকবে সরকার

সারাবেলা প্রতিবেদক, ঢাকা:

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম পি বলেছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে বেকার মানুষের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। আর তাই করোনার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কতৃক ‘করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে যুবদের জন্য গ্রামে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় তিনি এসব মন্তব‌্য করেন। এর আগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক ‘করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে যুবদের জন্য গ্রামে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ শীর্ষক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় যুব ও ক্রীড়া সচিব জনাব মোঃ আকতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবিরসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন। তাদের অনেকেই হয়তো আর আগের কর্ম ফিরে পাবেন না। এ পরিস্থিতিতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্রুত উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বৈঠকে জানানো হয়, করোনার প্রভাবে যারা গ্রামে ফিরে গেছেন তাদের হয়তো অনেকেই কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বেন। তাদের জন্য করোনা পরবর্তীতে দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে এমন বিষয়ে প্রকল্প নেওয়ার জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতি করোনা ধকল কাটিয়ে দ্রুতই দেশের অর্থনীতিকে সাবলীল ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সভায় প্রকল্পটি তুলে ধরেন। এতে বলা হয়- যুবদের শহরমুখী প্রবণতা রোধ করে গ্রামেই আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কর্মপ্রত্যাশী যুবদের আয় বাড়ানোর কাজে নিয়োজিত করার মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ‌্যোৎপাদন বৃদ্ধি করা, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যম পারিবারিক কৃষি ও জীবন দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ (মৎস্য, পোল্ট্রি, লাইভ স্টক, কৃষি) ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা ট্রেড ভেদে প্রশিক্ষণের মেয়াদ হবে ১০-২৮ কর্মদিবস। এছাড়া যুব সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে নিয়োজিত করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

সসা/নাআ/সেখা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন