করোনাতেই মারা গেলেন সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকন

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্বাসকষ্ট নিয়ে। ভর্তির ঘন্টাখানেকের মধ্যেই চিরঘুমের দেশে চলে যান সাংবাদকি হুমায়ুন কবির খোকন। নমুনা পরীক্ষার পর জানা গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণেই মারা গেছেন খোকন। এতথ্য জানিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তারিক শিবলী।

এদিকে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার উত্তরার বেসরকারি হাসপাতাল রিজেন্টে নেওয়ার পর মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মারা যান হুমায়ুন কবির খোকন। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় তখনই চিকিৎসকরা তার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহের কথা বলেছিলেন।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহেদ বলেন, “আমরা রাতেই নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম, ভোরে আমাদের জানানো হয়েছে, তার করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।”

হুমায়ুন কবির খোকনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগরে। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রেখে গেছেন। তাদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে জানিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা শিবলী বলেন, “আমাদের ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।”

দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার খোকনের সহকর্মী হাবিব রহমান জানান, গত ১৫ দিন ধরে বাসা থেকেই অফিস করছিলেন খোকন। মঙ্গলবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা শুরু হয়। এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ৯টার দিকে তাকে রিজেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালে ভর্তির সময়ই এই সাংবাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ডাক্তাররা চেষ্টা করলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তিনি মারা যান। হাবিব বলেন, “খোকন ভাইয়ের মৃতদেহ ইতোমধ্যে মুরাদনগরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই দাফন হবে।”

দৈনিক আমাদের সময়সহ বেশ কয়েকটি কাগজে কাজ করিয়ে হুমায়ুন কবীর খোকন সবশেষ দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন