সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা
রাজধানী ঢাকা এখনো ডেঙ্গু জ্বরের জীবানুবাহক এডিস মশার ‘ঝুঁকি’তে নেই বলে জানিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রাণঘাতী জ্বর ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় রয়েছে কি না, তা জানতে সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের একশটি জায়গায় জরিপ চালায়।
জরিপে পাওয়া তথ্য থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি ‘ঝুঁকিপূর্ন’ মাত্রায় নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী এক ভিডিও কনফারেন্সে জরিপের ফল তুলে ধরেন।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ৫ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৯৬টি বাড়িতে বর্ষাপূর্ব এ জরিপ চালানো হয়। জরিপের ফল তুলে ধরে ডা. শাহনীলা বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের কোনো এলাকায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বা ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া যায়নি। ব্রুটো ইনডেক্স ২০ বা তার বেশি হলে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। দুই সিটি করপোরেশনের সাতটি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ১০ এর বেশি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো- ঢাকা দক্ষিণের ১৫, ১৬, ১৮, ২৮, ৪১ ও নম্বর ওয়ার্ড ও উত্তরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড।”
জরিপে দুই করপোরেশনের বেশিরভাগ এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার চেয়ে কম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরিপে এডিস মশার উপস্থিতি রাজধানীর বহুতল ও নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে অন্য ধরনের ভবনগুলোর চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তবে কোন ধরনের কতটি ভবন জরিপের আওতায় এসেছে তার তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
অধ্যাপক শাহনীলা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এপ্রিল মাসকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মাস ঘোষণা করে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের সব উপজেলায় সরবরাহের জন্য ৬৪টি জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৪১ হাজার ৭০০টি কিট পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/download-1-2.jpg?fit=300%2C156&ssl=1)