|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহত পরিবারপ্রতি পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত হয়ে গেলো চেম্বার আদালতে। রোববার ১৩ই সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দেন চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামান ননী। এই আদেশের মেয়াদ আগামী ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আদালতে তিতাসের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্র্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার তৈমুর আলম।
বিষয়টি সংবাদ সারাবেলাকে জানিয়ে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত এরআগে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ কমাতে আবেদন করবো।
এর আগে রোববার সকালে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে পারবেন না জানিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদন করা হয়। তিতাসের পক্ষে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।
আবেদন জানানোর পর মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আপিল আবেদনটি ‘আজ (রোববার) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।’
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়ামও জানান আজকে (রোববার) এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানি করার জন্য আদালতে অপেক্ষা করছি।’
এর আগে গত ৯ই সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারপ্রতি এখনি পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ টাকা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের দেওয়া এমন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ই সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৬ই সেপ্টেম্বর ক্ষতিপুরণ চেয়ে রিট আবেদনটি করেছিলেন নারাগঞ্জের বাসিন্দা ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার।