|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টেকনাফ(কক্সবাজার) ||
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরিসংলগ্ন ছুরিখাল দিয়ে মাদকের চালান নিয়ে ফেরার পথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন দুই রোহিঙ্গা। এদেরকে মাদক কারবারী বলে দাবি করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। বন্দুকযুদ্ধে বিজিবির ৩ জন সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ও কিরিচ।
শুক্রবার ২৪শে জুলাই রাত সোয়া ১১ টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের লেদা বিওপির কাছে খবর আসে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি চালান আসছে। এরই প্রেক্ষিতে বিজিবি মোচনী ও লেদার মধ্যবর্তী ছুরিখালে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারী গ্রুপের কয়েকজন সদস্য বস্তা নিয়ে সামনে এগুতে থাকলে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের দাঁড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে। তখন তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে বিজিবির ৩জন জওয়ান আহত হয়। তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে পালিয়ে যায় মাদককারবারীরা।
পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২লাখ ১০হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় অস্ত্র, ১ রাউন্ড কার্তুজ ও ১টি কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় দুইজনকে। এরা হলেন, বালুখালী ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এইচ/৩৯ এর বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে মো. ফেরদৌস এবং একই ক্যাম্পের ব্লক-এইচ/২০ এর বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে মো. আব্দুস সালাম।
তাদেরকে প্রথমে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই মারা যান গুলিবিদ্ধ দুইজন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, টেকনাফকে মাদকমুক্ত করতে বিজিবি আগের চেয়ে আরো বেশী তৎপর হয়েছে। এই অভিযানে সরকারী দায়িত্ব পালনে বাঁধা দান ও মাদক পাচারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।