|| অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
বেতন দাবিতে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিকরা আর ত্রাণসহায়তার জন্য রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে অটোরিকশা চালকরা। শনিবার সকালে নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে তারা বিক্ষোভ করেন। এসময়ে আগ্রাবাদে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকরা ট্রাক থামিয়ে তাতে থাকা চাল ও ফল নিয়ে নেয়।
এরইমধ্যে শ্রমিকদের গেল দুই মাসের বেতন না দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের ফ্রাংক গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা। কর্তৃপক্ষের দাবি করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় তারা কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন।
শনিবার ১৮ই এপ্রিল সকাল এগারোটা থেকে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনদাবিতে নগরীর হালিশহর বড়পুল এলাকা ও আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। এসময় ওই সড়ক দিয়ে যাওয়া একটি ট্রাক থামিয়ে তাতে থাকা কয়েক বস্তা চাল ও কয়েক কার্টন ফল নামিয়ে নিয়ে যায় শ্রমিকরা।
পরে পুলিশের সহায়তায় একটি ফলের কার্টন উদ্ধার করলেও বাকিগুলো শ্রমিকরা নিয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বকেয়া বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
![](https://i0.wp.com/www.sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2020/04/FB_IMG_1587193418642-700x525.jpg?resize=700%2C525&ssl=1)
হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বড়পুল মোড়ে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সড়কে জড়ো হয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের বুঝিয়ে আধা ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অটো রিকশা চালকরা বলছেন, ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তারা গাড়ি নিয়ে সড়কে নামতে না পারায় কোনো রোজগার নেই। তাদের যা জমা টাকা ছিলও তাও শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে তারা কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি।
এদিকে ডবলমুরিং থানার বাদামতলী মোড়ে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ফ্রাঙ্ক গার্মেন্টস নামে একটি কারখানার কয়েকশ শ্রমিক। দুই মাসের বেতন না দিয়ে ফ্রাঙ্ক গ্রুপ তাদের কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, মার্চ মাসের বেতন এখনও তারা পাননি বলে শ্রমিকরা দাবি করছেন। যার কারণে তারা সমস্যায় পড়েছেন। ২৬শে এপ্রিল তাদের গার্মেন্টস খোলার কথা রয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।#