|| অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
করোনাসংক্রমণের এই ঝুঁকিসময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত আর ভাড়া বাড়িয়ে গণ পরিবহন চালু করা হলেও আগের মতই চলছে চট্টগ্রামের বাস মিনিবাস। সোমবার এসব বাস চলাচলের কথা থাকলেও চট্টগ্রাম মহানগরীতে রোববার থেকেই রাস্তায় বাস নামিয়েছেন অনেক মালিক।
বাড়তি ভাড়াতেই এসব বাস চললেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাসের মোট আসনের অর্ধেক আসনে যাত্রী নেওয়ার সরকারি নিদের্শনা থাকলেও শুধু বাসভর্তিই নয়, দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী।
নগরীর হালিশহর এলাকার রাকিব হোসাইন নামের এক ব্যবসায়ী বললেন, “রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আন্দরকিল্লা যাওয়ার জন্য একে খান মোড়ে অপেক্ষা করছিলাম। রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় তিন গুণ ভাড়া দাবি করছিল। ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর ৪ নম্বর রুটের একটি বাস আসে। ওঠা-নামা ৫ টাকার বিপরীতে ২০ টাকা ভাড়া দাবি করার পরেও বাসে উঠি। কিছুদূর যেতেই পুরো বাস ভর্তি যাত্রী ওঠান হেলপার। আমি প্রতিবাদ করলাম। কেউ শুনল না। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠালে স্বাস্থ্যবিধি মানা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
যাত্রী রাকিব হোসাইন এও বলেন, “জিইসির মোড়ে বাস থেকে নেমে দেখি সড়কে বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন চলাচল করছে। ভাড়া আদায় করছে চার গুণেরও বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করলেও কিছুটা সহনীয় হতো।”
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন রাকিব হোসাইন।
সড়কে গণপরিবহন চালানোর বিষয়ে শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের মতবিনিয় হয়েছে। সেখানে ১৬টি নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘সীমিত আকারে’ নগরীতে গণপরিবহন চালাতে বলেছে সিএমপি।
সভায় দেওয়া নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে :-
জ্বর, সর্দি-কাশির লক্ষণ থাকলে কিংবা অসুস্থ- এমন চালক বা শ্রমিককে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে হবে।
চলাচলের সময় বন্ধ রাখতে হবে গাড়ির দরজা
বাসের মোট আসনের অর্ধেক আসনের বেশী যাত্রী নেওয়া যাবে না।
জীবাণুনাশক দিয়ে প্রতিটি গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
যাত্রী, হেলপার ও চালকদের জন্য গাড়ীতে রাখতে হবে স্যানিটাইজার।
গাড়ির চালক, সহকারী এবং যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সম্ভব হলে ফেসশিল্ডও ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে রোববার সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ আরও কঠোর হবে।
সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নগরীতে গণপরিবহন চালাতে হবে। ১লা জুন থেকে আমরা সেটি কঠোরভাবে মনিটরিং করব।”