স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে ভোলা লক্ষীপুর রুটে সি-ট্রাক ও লঞ্চ

ভোলা প্রতিনিধি:

সড়ক পথে বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলা। ফেরী, লঞ্চ, সি-ট্রাক, স্পীডবোট, ট্রলারে করে উত্তাল মেঘনা পারি দিয়েই এই জেলার লোকজনকে অন্য জেলায় আসা যাওয়া করতে হয়। ভোলার সাথে ২১ টি জেলার যোগাযোগের মাধ্যম ইলিশা ও ভেদুরিয়া ঘাট। ২১ জেলার মানুষ এই দুটি ঘাট দিয়েই ভোলা লক্ষীপুর রুটে সি-ট্রাক ও লঞ্চের মাধ্যমে প্রতিদিন কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। করোনা ভাইরাসের মহামারী মোকাবেলা সরকারী বিধি মোতাবেক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলেও এ নিয়ম মানছে না ভোলার এই রুটের নৌপরিবহন মালিকরা।

স্বাভাবিকের তুলনায় দুই তিনগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ, সি-ট্রাকগুলো। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পরছেন এই রুটে চলাচল করা হাজার হাজার যাত্রী।

স্হানীয়সূত্রে জানা যায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘাটে উপস্থিত থাকলেও তাদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো নয়। গত বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে খিজির ৫ নামক সি- ট্রাক থেকে ১০০০০/ হাজার টাকা জরিমানা করলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই ভোলা থেকে মজু চৌধুরী ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেরে যায় সি ট্রাকটি। বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা জানান লঞ্চ, সি- ট্রাক মালিকরা তাদের কোনো কথাই শুনছেন না।

উল্লেখ্য, ভোলা জেলাতে এ পর্যন্ত ৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়।

সংবাদ সারাবেলা/তাইফুর/নাআ/সেখা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন