|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া বাজারে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে লামচর ইউপির দুই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফয়েজ উল্যা জিসান- মোঃ মিজানুর রহমান সোহাগ গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৬জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান সোহাগ গ্রুপের কর্মী যুবলীগ নেতা মোঃ শাওন হোসেন,মোঃ রবিন ভুইয়া,ছাত্রলীগ নেতা সাকিল হোসেন,অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জিসান গ্রুপের কর্মী যুবলীগ নেতা নূরে আলম, মোঃ কাউছার হামিদ দুঃখী ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রতন হোসেন সহ ৬ জনকে সন্ধায় রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা মোহাম্মদিয়া বাজার ফাঁড়ি থানার এএসআই ফখরুল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা না করে নিজের মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনার ভিডিও ধারন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আকম রুহুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু না বলেই রামগঞ্জে ফেরত চলে গিয়েছেন বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘোষিত ৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ,লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল বিকেলে রামগঞ্জ হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের পানপাড়া বাজার এলাকায় রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা যুবলীগ নেতা ফয়েজ উল্যাহ জিসান ও লামচর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সোহাগ পৃথক পৃথক দুইটি স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সড়কের দুপাশে অবস্থান করেন।
এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা অতিক্রম করার পর পরই দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে স্লোাগান নিয়ে একত্র হওয়ার সাথে সাথে ২গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে করে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৬জন গুরুতর আহত হয়। লামচর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও দলীয় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন,ফয়েজ উল্যাহ জিসান সমর্থকদের নিয়ে আমাদের স্থান থেকে দুইশত গজ দুরে ফয়েজ উল্যা জিশান তার লোকজন নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানায়।
কেন্দ্রীয় নেতারা মধ্য বাজার আমার সমর্থকেরা দাড়িঁয়ে থাকা স্থানে উপস্থিত হলে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। নেতারা আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে চলে যাওয়া মাত্রই জিসান তার লোকজন নিয়ে আমার কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
সাবেক যুবলীগ নেতা ও সম্ভাব্য লামচর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ উল্যাহ জিসান বলেন,মিজানুর রহমান সোহাগের সমর্থকেরা রাস্তা বন্ধ করে স্লোগান দিতে থাকায় কর্মীদের ভীড়ের কারনে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ী যেতে না পারায় আমি ও আমরা লোকজন গাড়ীর সামনে থেকে লোকজন সরিয়ে দিতে গেলে ক্ষুদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমান সোহাগের লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়।
লামচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটোয়ারী ও সাধারন সম্পাদক মনিরুল হক টুনা বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মিজানুর রহমান সোহাগের সসর্থকরা অবস্থান নেওয়ায় স্থানের গিয়ে অগ্রসর হওয়ায় মাত্রই সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফাড়ি থানা পুলিশের এএসআই ফখরুল জানান,আমরা মাত্র ২জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু অনেক নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারনে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রেখেছি। পরে সেই ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।