|| কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি||
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটূক্তি করায় গত শনিবার (৬ মে) গভীর রাতে থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে চারটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মাইন উদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভূয়া আইডিতে ‘হক কথা তিতা লাগে’ কটূক্তি করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের মাইন উদ্দিন সরকার (২২) এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে শনাক্ত করেছে। পুলিশ ওই রাতেই তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তাকে পাওয়া না গেলেও তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট পাওয়া গেছে। ওই মোবাইলে প্রাথমিক আলামতের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া বাদী হয়ে মাইন উদ্দিনকে আসামি করে শনিবার রাতে কসবা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
একই আইডি থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া ও তার বাবা সরকারি বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে নিয়েও বিভিন্ন কটূক্তি করা হয়েছে। এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক ও মো. ইব্রাহিম এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে ওই মাইন উদ্দিনকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।
কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া বলেন, তিনি জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাহেবের সহকারী একান্ত সচিব ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করায় আমি সংক্ষুব্ধ হয়েছি। এ কারণে আমি একটি মামলার বাদি হয়েছি। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীসহ আমি ও আমার পরিবারকে নিয়েও কটুক্তি করা হয়েছে। এ কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা আরো তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটুক্তি করায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মাইন উদ্দিন নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় প্রাথমিক তদন্তে মাইন উদ্দিনের নাম এসেছে। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।