|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ফেনী ||
ফেনীতে মোবাইলফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পচিশ বছর বয়সী সালমান হোসেন শিপন তিনি সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের পূর্ব রুহিতিয়া গ্রামের মৃত মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার ১৮ই অক্টোবর দুপুরে ফেনী সদর মডেল থানা পুলিশ তাঁর বাড়ীর পাশের একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারের পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত সালমান হোসেন ঢাকায় স্যানেটারী ফিটিংসের কাজ করতো। ৪ দিন আগে বাড়ীতে আসেন।গত শনিবার সন্ধ্যায় কে বা কাহারা তাঁকে মুঠোফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি রাত ১১টা পর্যন্ত বাড়ী ফিরে না আসায় পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু রাতেও তিনি বাড়ী যান নি।
রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন তার বাড়ীর পাশে একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারের পেছনে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে তাঁর মা সেলিনা বেগম সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। দুপুরে ফেনী সদর থানা পুলিশ স্থানীয় কাজীরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহম্মদকে সাথে নিয়ে ওই স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ফেনী সদর মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) ওমর হায়দার লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে দুই হাতের রগ কেটে, ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত পুলিশ তদন্ত করে সেটি দেখছে।