টেকনাফ ও চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণে আটক শিক্ষকসহ দুইপুরুষ

উত্তর শিলখালী আলহেরা ইবতেদায়ী নুরানি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে মসজিদের ওপরে নিয়ে ধর্ষণ করে শিক্ষক নুরুল হক। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে ধর্ষক শিক্ষক পালিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

||বার্তা বিভাগ, সংবাদ সারাবেলা ||

টেকনাফ ও চুয়াডাঙ্গায় দুই শিশুকে ধর্ষণ করে ও ধর্ষণচেষ্টা করতে গিয়ে আটক হয়েছে দুই পুরুষ। এদের একজন মাদ্রাসা শিক্ষক অন্যজন এলাকার মুদি দোকানি।

সংবাদ সারাবেলা প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, কক্সবাজারের টেকনাফে উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক। প্রচুর রক্তক্ষরণে মুমূর্ষু অবস্থায় ধর্ষিতাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

গেল ১লা অক্টোবর বিকালে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া উত্তর শিলখালী আলহেরা ইবতেদায়ী নুরানি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে মসজিদের ওপরে নিয়ে ধর্ষণ করে শিক্ষক নুরুল হক। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে ধর্ষক শিক্ষক পালিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন বলেছেন, ধর্ষক শিক্ষক নুরুল হককে এলাকাবাসী পাহাড় থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ হলে তার যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান ধর্ষককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষনচেষ্টার শিকার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের মুসলিম পাড়ায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে আটক হয়েছে এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সুজা উদ্দীন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মুসলিম পাড়ায় অভিয্ক্তু সুজা উদ্দীনের বাড়ীর পাশে নিজ দোকান থেকে আটক করা হয়। ৫০ বছর বয়সী আটক সুজা উদ্দীন পৌর এলাকার বেলগাছি মুসলিম পাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বৃহস্পতিবার সুজা উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রীর মামা বেলগাছি মুসলিম পাড়ার ফজো মিয়ার ছেলে ইজিবাইক চালক ফারুক হোসেন। অভিযোগের পর পরই চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ সুজা উদ্দিনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।

সদর থানার পুলিশ বলছেন, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ ওই অভিযুক্তকে আটক করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ ধারণা করছে টাকা পয়সা ধার দেনা নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে রেশারেশি থেকে এ ধরণের একটি ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক তদন্ত ছাড়া মতামত দেওয়া ঠিক হবে না বলে জানান সদর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন