|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টেকনাফ ||
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিলেছে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ। নিহত হয়েছেন একজন। বিজিবির দাবি নিহত মো. ছৈয়দ আলম একজন চিহ্নিত মাদককারবারি। সে টেকনাফ পৌর এলাকার পুরনো রোহিঙ্গা ছৈয়দ আহমেদের ছেলে।
রোববার ১২ই জুলাই ভোর রাতে টেকনাফ স্থল বন্দরসংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজের কাছে কেয়ারি খাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে, এমন তথ্যে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল সেখানে অবস্থান নেয়। টহলদল দূর থেকে দুইজন লোককে খালের পাড়ে দেখতে পায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেক জনকে নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেখা যায়। নদী পার হয়ে লোকটি খালের পাড়ে থাকা অন্য দুইজনের কাছে গেলে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। লোকগুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরাও তাদের পিছু নেয়।
এসময়ে লোকগুলো বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। ৩ থেকে ৪ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে বিজিবি। অন্য দুইজনকে ধরা যায়নি। আহতকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আহতকে ‘মৃত’ ঘোষনা করেন।
নিহত টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন রোহিঙ্গা ছৈয়দ আহমদের ছেলে মো:ছৈয়দ আলম। বিজিবির দাবি মো. ছৈয়দ আলম চিহ্নিত মাদক কারবারি।
স্থানীয়রা বলছেন, ছৈয়দ আলম মিয়ানমার মন্ডু থানার বালুখালির গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি টেকনাফ পৌর এলাকার নাইট্যংপাড়ায় থাকছেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান অভিযান ও হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।