টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ইউপি সদস্যসহ নিহত ২

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের হাতে আটক আসামীদের নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৪জন পুলিশ সদস্য আহত এবং উখিয়ার এক ইউপি মেম্বারসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হয়েছে। এসময় অবৈধ অস্ত্র ও বুলেটসহ ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়েছে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টেকনাফ ||

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের হাতে আটক আসামীদের নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৪জন পুলিশ সদস্য আহত এবং উখিয়ার এক ইউপি মেম্বারসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হয়েছে। এসময় অবৈধ অস্ত্র ও বুলেটসহ ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, (২৪ জুলাই) রাতের প্রথম প্রহরে ২০হাজার ইয়াবাসহ আটক জনৈক ইউনুছের স্বীকারোক্তিতে দায়েরকৃত মামলার আসামী কুতুপালংয়ের কালা মিয়ার পুত্র মৌলভী বখতিয়ার ওরফে বখতিয়ার মেম্বার (৫৫) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ইউছুপ আলীর পুত্র মোঃ তাহের (২৭) কে নিয়ে হোয়াব্রাংয়ের সৌদি প্রবাসী নুর হোসেনের বাগানে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এএসআই মাজহারুল, কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম, মোঃ হাবিব ও আবু হানিফ আহত হয়। এরপর পুলিশ কৌশলী ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্যরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।

এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ২০হাজার পিস ইয়াবাসহ বখতিয়ার উদ্দিন মেম্বার (৫৫) ও রোহিঙ্গা মোঃ তাহের (২৭) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ দুই মাদক কারবারীসহ আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদক কারবারী গ্রæপের গুলিবিদ্ধ দুই সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই অভিযানের বিষয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, হ্নীলা হোয়াব্রাংয়ের এই পয়েন্টে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনার পর প্রভাবশালী অমুকের আত্মীয়, সমুক নেতার অনুসারী পাতি নেতা, অমুক আমলার আত্মীয়, সমুক অফিসারের কাছের মানুষ পরিচয়ের আড়ালে থাকা ইয়াবা কারবারীদের বুকে কাপন ধরতে শুরু করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন