টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা

টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ৩১শে জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টেকনাফ(কক্সবাজার) ||

টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ৩১শে জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ঈদের দিন সারাদেশে আততায়ীরা হামলা চালাতে পারে এমন একটি সতর্কবার্তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ছিল। এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতায় ছিল জেলা পুলিশ। বিশেষ করে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় রেড এলার্টে ছিল শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার রাতে শাপলাপুরের একটি পাহাড় থেকে বোরকা পরা দু’তিনজন মানুষ গাড়ীতে উঠলে স্থানীয় লোকজন আরোহীদের ডাকাত বা আততায়ী সন্দেহে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মেরিন ড্রাইভ চেকপোস্টে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়ির আরোহী একজন তার পিস্তল বের করে পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ওই ব্যক্তি মারা যায়।

নিহত ব্যক্তি যশোরের ১৩ নম্বর বীর হেমায়েত সড়কের সেনানিবাস এলাকার মৃত এরশাদ খানের ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তার বয়স ৩৬ বছর।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই সেনা কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সঙ্গীসহ টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আসছিলেন। মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তা তার কাছে থাকা পিস্তল বের করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ওই সেনা কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

এসপি আরও জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আটক রয়েছে ২ জন। পুলিশ পিস্তলটি জব্দ করেছে। এছাড়া গাড়ি তল্লাশি করে ৫০ পিস ইয়াবা, কিছু গাঁজা এবং দুটি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। একই ধরনের মদের বোতল এবং নানা ধরনের মাদক মিলেছে তাদের অবস্থান করা রিসোর্টেও।

নিহত সাবেক মেজর সিনহা একটি তথ্য চিত্র ধারণের কাজে এক নারী ও অপর ৩ পুরুষ সঙ্গীসহ গত এক মাস ধরে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় তার গায়ে সেনাবাহিনীর গেঞ্জি ছিল। এ কারণেই পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।

সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি তদন্তে একজন উপ-সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতে থাকতে তিনি এসএসএফের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএমএ লং কোর্সের ৫০তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন