|| সাদ্দাম হোসাইন, টেকনাফ(কক্সবাজার) ||
স্থানীয় একটি মহলের বাধায় মাঝপথে থেমে গেছে টেকনাফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন-পুরান বাজার সড়কের কাজ । উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা হ্নীলা বাস স্টেশনের এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী। এ কারণে চরমে পৌঁছেছে জনভোগান্তি।
জানা গেছে, সম্প্রতি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করলেও একটি মহলের বাধা পেয়ে কাজ বন্ধ করে চলে গেছে। বিষয়টি জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, খানা-খন্দকে ভরা সড়কে চরম দুর্ভোগে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় ও কার্যোপলক্ষে আসা অসংখ্য মানুষ। একইভাবে তীব্র ঝাঁকুনি আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পাড়ি দিচ্ছে শত শত যানবাহন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জনভোগান্তি ভোগান্তি লাঘবের জন্য প্রাথমিকভাবে এলজিইডির অর্থায়নে হ্নীলা ষ্টেশন-পুরান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অর্থাৎ তহসিল অফিস পর্যন্ত ৭শ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহবান করে।
সর্বসাকূল্যে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম.এম. এন্টারপ্রাইজ সড়ক সংস্কারের কাজ পায়। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় এক মাস ধরে কাজ করছিল। এরইমধ্যে একটি গ্রুপ হঠাৎ অন্যায়ভাবে কাজে বাধা দেয়ায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মুজিব।
এ বিষয়ে টেকনাফের পূর্ব সিকদার পাড়ার বাসিন্দা, শিক্ষক ও কবি আবুল হোছাইন হেলালী বলেন,অত্র ইউনিয়নের জন্য সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারো হীন স্বার্থ চরিতার্থের জন্য হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ কাম্য নয়। এই সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন তদবিরের পর কাজ শুরু হয়েছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এলাকাবাসীর জন্য খুব দুঃখজনক খবর । আশা করি এলাকার টেকসই উন্নয়নে সবাই সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ তহশিল অফিস, কাস্টম্স অফিস, বিজিবি ক্যাম্প, পোস্ট অফিস, দাতব্য প্রতিষ্ঠান গুহাফাসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি অফিসে যাতায়াতের পথ স্টেশন-পুরান বাজার সড়ক। একই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হ্নীলা হাইস্কুল, সরকারী প্রাইমারী স্কুল, হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং স্থানীয় সুলিশ পাড়া, গুদামপাড়া, বাজার পাড়া, মগপাড়া, পূর্ব ফুলের ডেইল, দক্ষিণ ফুলের ডেইল ও পূর্ব সিকদার পাড়ার হাজার হাজার অধিবাসী।