||অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডে প্রথম রেডজোন অমান্য করে লকডাউন এলাকার বিভিন্ন প্রবেশ মুখে অবাদে চলাচল করছে শতশত পোশক শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বুধবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কর্ণেলহাট বাজার এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে লকডাউন চলাকালীন সময়ে এলাকার ২০টি প্রবেশপথ চিহ্নিত করে তা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করেছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রবেশপথগুলো হলো কর্নেল টোল রোড, ঈশান মহাজন রোড, মোস্তফা হাকিম কলেজ রোড, সাগরিকা বিটেক রোড, কৈবল্যধাম রোড, নিউ মনছুরাবাদ রোড, সিডিএ আবাসিক রোড, সাগরিকা আলিফ রোড।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয়রা যদি সরকারের আইন মানতে পারে অন্যরা কেন এই আইনের আওতায় থাকবে না। অথচ বুধবার সকাল থেকে অবাধে লকডাউন ভেঙ্গে প্রবেশ করছে শতশত গার্মেন্টসকর্মী। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সিটি কর্পোরেশনের কাউকে দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন কাট্টলী এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকরাই মূলক জীবিকার তাগিদে লক ডাউন ভেঙ্গে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন৷ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষনা করলেও গার্মেন্স কারখানা গুলোতে এসব মানা হয় না৷ উল্টো শ্রমিকদের হাজির হওয়ার নির্দেশনা আছে৷ তাই জীবনের ঝুঁকি ও বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে এসব মানুষ লক ডাউন ভাঙ্গতে বাধ্য হচ্ছে৷
এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার সকাল লকডাউনের প্রথম দিন। হঠাৎ অনেকেই বুঝতে পারেনি। তাই এমনটা ঘটছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’
এর আগে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড চট্টগ্রামের প্রথম রেডজোন হিসেবে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে লকডাউন করা হয়। এসময় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘটনাস্থলে এসেই এলাকার ১৪টি প্রবেশপথের সবগুলো বন্ধ সহ লকডাউন করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ খানেক আগ থেকে এলাকায় এবিষয়ে সচেতনমূলক মাইকিং ও লিফলেট দেওয়া হয়েছিল।