|| সারাবেলা প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ||
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তৃতি এড়াতে ঈদের আগে নগরীর বেশীর ভাগ মার্কেটই খুলবে না। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। অবশ্য টেরিবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার এবং তামাকুমণ্ডি লেইনের ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন শনিবার।
শুক্রবার ৮ই মে দুপুরে বিভিন্ন শপিং সেন্টারের দোকান মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির এক জরুরি বৈঠক করে সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে রোববার ১০ই মে থেকে দোকান বা মার্কেট খোলার অনুমতি থাকলেও জনস্বার্থে ব্যবসায়ীরা মার্কেট বা শপিং মল খুলবেন না।
নগরীর জিইসির সানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার জানান, শুক্রবার বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা সম্মিলিত বৈঠকে ঈদের আগে ৯টি শপিং সেন্টার ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এগুলো হচ্ছে- সানমার ওশান সিটি, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, কল্লোল সুপার মার্কেট, আমিন সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, খুলশী কনকর্ড টাউন সেন্টার।
শনিবার ১১ই মে নগরীর বিপণি বিতান বা নিউ মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট ও লাকি প্লাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত আমাদের প্রস্তুতি নেই। দ্বিতীয়ত করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঈদ বাজারে মেনে চলা অসম্ভব। নিজেদের ও কর্মীদের জীবন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
এদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান বলেন, ‘শুক্রবার বিভিন্ন মার্কেটের মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ৩১শে মে পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সবাই একমত হয়েছেন। তবে এখনো টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার-তামাকুমণ্ডি লেইনসহ আরও কয়েকটি মার্কেটের দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।’