|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ফেনী ||
খানাখন্দে বেহাল ফেনী-সোনাইমুড়ি আঞ্চলিক সড়কের ফেনী অংশের তেমুহনী থেকে গনিপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়ক। বেশির ভাগ অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে, পাথর উঠে গিয়ে সুড়কি বালু দৃশ্যমান। সড়কের অনেক জায়গাতেই বড় বড় গর্ত। তেমুহনী থেকে বোর্ড অফিস পর্যন্ত অংশে গর্তগুলো এতোটাই বড় যে পানি জমে তা দেখতে ছোটখাটো ডোবার মত । প্রতিদিনই বিকল হচ্ছে যানবাহন। নিত্যভোগান্তিতে সড়কে যাতায়াতকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি, রাস্তার ওপর দিয়ে উজান থেকে আসা পানির প্রবাহের তোড়ে নিম্নমানের উপকরণে তৈরি সড়কের উপরিভাগ একেবারে উঠেই গেছে। সড়কটির পাশ দিয়ে গ্যাস লাইন, বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। উপরন্তু বিরলীবাজার সংলগ্ন ছোট ফেনী নদীর ওপর ব্রিজ রয়েছে। পাঁচ লাখ লোকের এ সড়কের যাত্রীরা মহা আতঙ্কে আছেন যদি ছোট ফেনী নদীর ফাটলে রাস্তাটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহর বন্দরে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারীরা নিরাপদে আসা-যাওয়ার ভাবনায় এখন মহাচিন্তিত।
ফেনীর তেমুহনী হতে বিরলী, রাজাপুর, সিন্দুরপুর, অলাতলী, দরবেশেরহাট, গাজিরহাট, কানকিরহাট হয়ে সোনাইমুড়ি পর্যন্ত জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের সড়ক এই রাস্তাটি। ৩টি জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ সড়কটি বিকল্প বিশ্ব রোড হিসেবে অনুমোদিত হয়। ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন লিটন জানান, সড়কটি যান চলাচলের অনুপযােগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার সমস্যার কারণে হাসপাতালে যেতে অসুস্থ্য রোগী আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সড়কে যাতায়াতকারী মাষ্টার আবু নাসের জানান, সড়কটি মেরামত করা হয়েছে বেশিদিন হয়নি। কিন্তু নিম্নমানের কাজ করায় কিছুদিন না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, চলাচলে অনুপযোগী এই সড়কে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হয় এবং শারীরিকভাবেও ব্যাথা বেদনার কারণে গাড়ি চালাতে তেমন আগ্রহ থাকে না।
ফেনী পশ্চিমাঞ্চল কমিউনিটির সভাপতি আবুল কাশেম সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই গাড়ি চলাচলতো দুরের কথা রাস্তায় হাঁটা যায় না। রাস্তা ভেঙ্গে ডোবা হয়ে যাচ্ছে, কর্তৃপক্ষের নজর নেই। সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
ফেনী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কার্যাদেশ দেয়া হবে।