করোনা সামালে চট্টগ্রামে চালু হলো ফিল্ড হাসপাতাল

|| অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল চালু হলো চট্টগ্রামে। মঙ্গলবার ২১শে এপ্রিল সকাল থেকে রোগী দেখার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের এই ফিল্ড হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এই ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন। তাঁর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে শিল্পগ্রুপ নাভানা।

ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) কাছাকাছি ফকিরহাট পাক্কার মাথায় নাভানা গ্রুপের ভবণে এই ফিল্ড হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এই অঞ্চলের রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলো।

এদিকে ৬ হাজার ৮শ বর্গফুট জায়গা নিয়ে নির্মিত এ হাসপাতালে রয়েছে ১০ শয্যার আইসিইউ সুবিধাসহ ৫০টি শয্যা। ৫টি ভেন্টিলেটর। এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে রয়েছেন ১০ সদস্যের চিকিৎসক টিম। সহায়তা করতে রাখা হয়েছে ১শ জনের একটি স্বেছাসেবক দল। রোগীদের জন্য রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এক লাখ মানুষের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়ে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

গত রোববার সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল ফিল্ড হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। দ্রুত সময়ে হাসপাতালটি নির্মিত হওয়ায় সন্তোষ জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বৈশ্বিক এ ক্রান্তিকালে মানবতার ব্রত নিয়ে করোনা রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সত্যিই এটি একটি সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপ। এর সঙ্গে জড়িতদের আমি সাধুবাদ জানাই।’

হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ূয়া বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মানসিক চাপ কমিয়ে স্বস্তি দিতেই এ উদ্যোগ। সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মাত্র ২১দিনে ফিল্ড হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালটি নির্মাণে শিল্প গ্রুপ নাভানা জায়গা ও অবকাঠামো দিয়ে সহায়তা করেছে। আশা করছি, এর মাধ্যমে এখন থেকে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে।”

মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোগী আসতে শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে এসেছে। যেহেতু এটি শুধু করোনা রোগের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত তাই তাদের কাউন্সিলিং করে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন