|| অনলাইন প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার) ||
করোনাদুর্যোগের আর্থিক প্রভাব পড়েছে টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্যে। গেল এপ্রিলে মাত্র দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম।
এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন বলেন, চলতি (২০১৯-২০) অর্থ বছরের এপ্রিলে ১৪২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে দুই কোটি ৬৯ লাখ সাত হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয় ।
এ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অথচ আদায় করা রাজস্বের পরিমাণ মাত্র দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা কম।’
আবছার উদ্দীন বলেন, ‘এই মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয় ৩৪ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন। আমদানি করা পেয়াঁজ থেকে কোনও ধরনের রাজস্ব আদায় হয় না।
তাছাড়া করোনার কারণে পশু আমদানিও বন্ধ রয়েছে। ফলে এ খাত থেকেও কোনও ধরনের রাজস্ব আদায় হয়নি। এমনকি শুল্ক আদায়যোগ্য পণ্য কম আমদানির ফলে রাজস্বও কম আদায় হয়েছে। অন্যদিকে, মিয়ানমারে সাতটি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার দেশীয় পণ্য রফতানি হয়েছে।’
শুল্ক কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘করোনার প্রভাব এই সীমান্ত বাণিজ্যেও পড়েছে। ভাইরাসের কারণে সারা দেশে চলছে সাধারণ ছুটি এরই মাঝে শুধু নিত্য পণ্য আমদানির লক্ষ্যে সীমিত আকারে বন্দর চালু রেখেছে সরকার।
তিনি জানান, যেখানে বন্দরে অন্যান্য পণ্য আমদানি বন্ধ, সেখানে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে ভাইরাসের প্রভাব কেটে গেলে পণ্য আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।