ঈদের প্রথমদিন চট্টগ্রামের উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও, দ্বিতীয় দিনে নেই মানুষের ভিড়। করোনার ঈদ ঘরবন্দি থেকেই দিন কাঁটছে নগরবসাীর ।ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলো রয়েছে একেবারেই ফাঁকা। তবে রিকশায় ও মোটরসাইকেলে তরুণ-তরুণীদের ঘুরতে দেখা যায়।
প্রতিবছর ঈদে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এবার করোনার প্রভাবে তা একেবারেই জনশূন্য। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে সব ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।
করোনা কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরের ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, স্বাধীনতা পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং জেলার পারকি সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতসহ সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে সব ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ রয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করে কেউ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার একটা প্রবণতা সবার মধ্যে থাকে। সবাই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। তাই এ বছর বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় না করে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশনা না মেনে কেউ বিনোদনকেন্দ্র চালু করলে, কেউ বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় করলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১৯ মার্চ করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সই করা ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম জেলার সব পিকনিক স্পট, বিনোদন পার্ক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।