|| এম. মতিন, চট্টগ্রাম থেকে ||
জিন্নাত আলী। দেশেতো বটেই, এশিয়ার সবথেকে লম্বা মানুষগুলোর তালিকায় অবস্থানটা তার দুই নম্বরে। বাড়ি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায়। এলাকায় এই জিন্নাত আলীকে সবাই ডাকতেন পাঠান নামে। হ্যাঁ, ডাকতেন। কেননা দীর্ঘকায় এই মানুষটি আর নেই। বেশ ক’বছর ধরে ব্রেইন টিউমার ও গ্রোথ হরমোন রোগে ভুগে শেষপর্যন্ত হার মেনেছেন মৃত্যুর কাছে। গেল সোমবার ২৭শে এপ্রিল রাত ৩টার দিকে তিনি মারা গেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর।
জিন্নাত আলীর বড় ভাই ইলিয়াছ আলী জানান, তার ভাই বেশ কয়েক বছর ধরেই ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, মস্তিষ্কে টিউমার নিয়ে বেঁচে ছিলেন। স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ভর্তি হন কক্সবাজার হাসপাতালে। সেখান থেকে ২৬শে এপ্রিল তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার ২৭শে এপ্রিল শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে নেওয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখার ঘণ্টাখানেক পরে তিনি মারা যান।
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের আমির হামজার ছেলে জিন্নাত আলী। তিনি ছিলেন পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। জন্ম ১৯৯৬ সালে, তার উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। জিন্নাত আলী বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সবচেয়ে লম্বা মানুষ। তুরষ্কের সুলতান কোশেন এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘ মানব ছিলেন এই জিন্নাত আলী।
বাবা আমির হামজা জানান, ১১ বছর বয়স থেকে হঠাৎ করেই জিন্নাত আলীর শরীরের উচ্চতা অস্বাভাবিক গতিতে বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিন্নাত আলীকে চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।
তখন ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, জিন্নাতের মস্তিষ্কে টিউমার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া হরমোন সমস্যার কারণে তার উচ্চতা বাড়ছে। সেসময় বেশ কিছুদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নেন জিন্নাত।