|| সারাবেলা প্রতিনিধি , আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) ||
কেউ এসেছে করোনার প্রথম ডোজ নিতে আবার কেউ এসেছে দ্বিতীয় ডোজ নিতে এইভাবেই করোনার টিকা নিতে আসা মানুষের ভীড় রয়েছে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জুড়ে। তবে করোনার ডোজ নিতে আসা মানুষের ভীড় দেখা গেলেও কারো কপালে মিলছেনা টিকা। টিকা সংকট হওয়ায় এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়,সকাল থেকে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছে উপজেলা বিভিন্ন প্রান্থের লোকজন। করোনার ডোজ নিতে আসা এসব মানুষদের মধ্যে বিদেশগামী লোকদের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। টিকা থাকা সত্ত্বেও প্রবাসীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলেছেন অনেক বিদেশগামী। তাদের অভিযোগ দ্বিতীয় ডোজের সময় অনুযায়ী তারা টিকা নিতে আসলেও তাদের টিকা না থাকার অজুহাত দেখিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু অনেক জনকে টিকা নিতে দেখা যাচ্ছে।
ওমর ফারুক নামের এক বিদেশগামী অভিযোগ তুলে বলেন, জুলাইয়ের ১৩ তারিখ প্রথম ডোজ নিই আমি তারপর দ্বিতীয় ডোজের সময় দেওয়া হয় আগষ্টের ১০ তারিখ। আমি তারিখ অনুযায়ী টিকা নিতে গেলে আমাকে প্রথমে টিকা নাই বলা হয়। অনেকেই তো টিকা নিচ্ছে! এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা আমাকে জানাই যে,এসএমএস ছাড়া টিকা দেওয়া যাবেনা। অতচ এসএমএস ছাড়া অনেক জনকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
আরেকজন বিদেশগামী বলেন,করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ১৪দিন পর টিকেট করা যাবে এইভাবে আমরা যদি টিকা নিতে না পারি,আজ-কাল করে করে সময় চলে যায় তাহলে যদি আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তার দায়ভার কে নিবে!
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, এই পর্যন্ত আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১৯ হাজার ৮শ ২জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং গত ১০ আগষ্ট পর্যন্ত ১০হাজার ৯শ ৩০জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ।
করোনা টিকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আপতত করোনা টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় সিনোফার্মের টিকা বন্ধ রয়েছে। তবে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ এখনো চালু রয়েছে। আর সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে তবে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার ৫৬ দিন পরেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তবে ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে এসএমএস আসতে হবে। কারণ এসএমএস ছাড়া যদি ডোজ দেওয়া হয় তাহলে সার্টফিকেট ডাউনলোড করা যাবে না।