পুঁজির অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প

ফটিকছড়ি উপজেলার সদর বিবিরহাট ও নাজিরহাট বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে বেড়েছে বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা । বিশেষ করে আমন ধান কাটা মৌসুম শুরু হওয়ায় ঢাকী ও কুলার বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় পুঁজি সঙ্কট,

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) ||

ফটিকছড়ি উপজেলার সদর বিবিরহাট ও নাজিরহাট বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে বেড়েছে বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা । বিশেষ করে আমন ধান কাটা মৌসুম শুরু হওয়ায় ঢাকী ও কুলার বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় পুঁজি সঙ্কট, শ্রমিক মজুরিসহ উপকরনের মূল্য বৃদ্ধি, উৎপাদিত পন্যে মূল্যের ন্যয্য মূল্য না পাওয়াসহ নানান কারণে অপার সম্ভবনাময় এই ঐহিত্যবাহী পেশাটি হারিয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা আর তেমন নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। এখন আর আগের মতো বাড়ির আশেপাশে বাঁশ ও বেত গাছ রাখছে না কেউ। সেগুলো কেটে বিভিন্ন চাষাবাদসহ দালান তৈরি করছে মানুষ। তাই কাঁচামাল আর আগের মতো সহজেই পাওয়া যায় না।তবে তবে এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতের তৈরি খোল, চাটাই, খোলুই, ধামা, টোনা, পালল্টা, মোড়া,দোলনা, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলা সদর বিবিরহাট বাজারের হাতিপুলের পাশে বসে প্রাচীর এই তৈজসপত্রে হাট।এই হাটে গেলেই চোখে পড়বে হাতের তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের তৈজসের পসরা।উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তর থেকে কারিগররা তাদের তৈরিকৃত পণ্য নিয়ে সপ্তাহের দুইদিন আসেন এই হাটে।তবে সপ্তাহের বাকিদিন গুলোতেও এখানকার কিছু স্থায়ী দোকানেও পাওয়া যায় এসব তৈজসপত্র।দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেপারীরা আসেন এ হাটে।এ হাট থেকে পাইকারীতে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে নিয়ে বিক্রি করেন।বেশ চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলের এসব তৈজসপত্রের।

আব্দুর রহমান নামে এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানায়, ”আমি প্রতি বছর ধান কাটার সময় নতুন ঢাকী, কুলা কিনে থাকি। ধান মাড়াই থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা পর্যন্ত এসব প্রয়োজন হয়।”

বিবিরহাটে বাঁশ-বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা ষাটোর্ধ আহমদুল হক বলেন, “বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার বেতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় গেলেও পূর্ব পুরুষের হাতেখড়ি এই পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা।,,

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন