|| অনলাইন প্রতিনিধি, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা)||
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাচির সাথে পরকীয়ার জেরে চাচার সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর ভাতিজা জিয়াউল হক (২৯) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকতলী উত্তর পাড়া মুন্সি বাড়ীতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার ৩১ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধঞ জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্র জানায়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে চাচি মুরশিদাকে (২৫) আটক করলেও চাচা বাছির পলাতক রয়েছেন।
দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের মুন্সি বাড়ির হুমায়ুন কবিরের একমাত্র ছেলে জিয়াউল হক প্রবাস ফেরত। তিনি প্রায় দুই বছর আগে দেশে ফেরেন। পুনরায় তিনি বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত বুধবার (২৭ মে) রাত থেকে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। এ ঘটনায় জিয়ার পরিবার নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এরই মধ্যে শনিবার বাহরাইন প্রবাসী চাচা বাছির কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন জানতে পারে জিয়াউল হককে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে চাচার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এ খবর স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ পাটোয়ারী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পৌঁছে রাত পৌনে ১০টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জিয়াউলের চাচী মুরশিদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রবিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের চাচী মোর্শেদা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
সসা/বশির/এসএম/এসকে