|| সারাবেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চালু হলো ই-অকশন। মঙ্গলবার ২৭শে অক্টোবর দুপুরে ডিজিটাল পদ্ধতির এই নিলাম কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য খন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান। এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্ট, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও ব্যাংক প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিলাম শাখায় ই-অকশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় যে কোনো স্থান থেকেই সেবাগ্রহিতারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। ফলে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা। বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে জব্দ পণ্যের প্রচলিত পদ্ধতির যে নিলাম প্রক্রিয়া রয়েছে সেটি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য খন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘ই-অকশন হচ্ছে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি পদ্ধতি। এতে কাস্টমসে অনিয়ম দুর্নীতি অনেকটাই কমে যাবে। কাস্টমসের কার্যক্রম আরো তরান্বিত হবে। ২৮শে অক্টোবর বুধবার সকাল থেকে যে কেউ ই-অকশনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ডিজিটাইজেশনের আওতায় এলে পণ্য আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং করে দেশ থেকে মুদ্রাপাচার রোধ করা যাবে জানিয়ে আগামীতে ই-পেমেন্ট পদ্ধতি বাস্তবায়নের কথাও বলেন এনবিআর সদস্য।
এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ই-অকশন চালু হওয়ায় নিলামে অংশগ্রহণকারীরা পণ্যের দর, পণ্যের তালিকা, পণ্যের ছবি অনলাইনেই দেখতে পাবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পূরণ করে ঘরে বসেই নিলামে অংশ নেওয়া যাবে। একইভাবে ঘরে বসেই দেখতে পারবেন, কোন ক্যাটালগের সর্বোচ্চ বিডার কে হয়েছেন। এতে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নিলাম কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী আমদানি করা পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না নিলে আমদানিকারককে নোটিশ দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টম। এ ছাড়া মিথ্যা ঘোষণা এবং ঘোষণার বেশি আনা জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। আবার মামলাসহ নানা জটিলতায় বন্দর ইয়ার্ডে বাড়ে কনটেইনারের জট। দিনের পর দিন কনটেইনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোন মাশুল পায় না।
ই-অকশনের এ সফটওয়ার ব্যবহার সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সম্যক ধারণা দিতে গত ২২শে অক্টোবর একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরও যদি ব্যবসায়ীদের বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে কাস্টমসের নিলাম শাখার একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার অধীনে একটি হটলাইন চালু রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।