॥ সারাবেলা প্রতিনিধি, বরিশাল ॥
রাষ্ট্রয়াত্ব জ্বালানী তেল বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানীর নগরীর ডিপো থেকে প্রত্যেক লরি ও ব্যারেলে কম তেল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিপোর ইনচার্জ ইমাম হোসেন লরি চালক ও ব্যাবসায়ীদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন এমন চুরি অব্যাহত রেখে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই ডিপো থেকে প্রতিদিন ৯০০ লিটার পেট্রোল কম দিয়ে চোরাই পথে বিক্রি করছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, নগরীর ভিআইপি সড়কে যমুনা ডিপো থেকে বিভাগের ৬ জেলাসহ ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর সহ ১০ জেলার ব্যাবসায়ীদের কাছে পেট্রোল বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ লরি তেল বিক্রি হয় এই ডিপোতে। এছারা বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা ব্যারেলে করে পেট্রোল ও ডিজেল নেয়।
অভিযোগ উঠেছে লরি শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে ইমাম হোসেন কম তেল নিতে বাধ্য করেন। কোন ব্যাবসায়ী এর প্রতিবাদ করলে তাকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এছারা খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে রাখা হয় অতিরিক্ত মূল্য। এই দুর্নীতি করে প্রতিদিন তার আয় হয় কয়েক লক্ষ টাকা।
ডিপো থেকে তেল নিয়ে আসা বানারীপাড়ার ব্যাবসায়ী গোপাল চন্দ্র কুন্ডু বলেন, সপ্তাহে ১০ ব্যারেল ২’শ লিটার পেট্রোল নেন তিনি। প্রতিবার প্রতি ব্যারেলে ২-৩ লিটার পেট্রোল কম নিতে হয়। ওই হিসেবে ১০ ব্যারেলে ২০-৩০ লিটার পেট্রোল কম পাচ্ছেন তিনি। এর প্রতিবাদ করলে ডিপো থেকে পেট্রোল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বাধ্য হয়ে কম তেল নিতে হচ্ছে। এছাড়াও খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি লিটার পেট্রোল ৮১ টাকা ৫৬ পয়সা করে রাখেছেন ম্যানেজার। যা অতিরিক্ত মূল্য।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে লরি চালকরা জানান, প্রতি লরির ৩ টি চেম্বারে ৯ হাজার লিটার পেট্রোলের মধ্যে ২৫-৩০ লিটার করে কম দেয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজার লিটার তেল কম দিয়ে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া কোন ব্যাবসায়ী যদি ৬ হাজার লিটার ডিজেল নেয় তাদের কমপক্ষে ৪০-৫০ লিটার ভেজাল নিতে বাধ্য করেন ইমাম হোসেন। প্রতিবাদ করলে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
এবিষয় বরিশাল যমুনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ ইমাম হোসেনের সাথে তার কক্ষে দেখা ও আলাপে তিনি বলেন আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ এধরনের অভিযোগ করেনি তাদের লড়িতে তেল কম দেয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেছেন তিনি।