বর্ষায় নৌকা কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে

||অনলাইন প্রতিনিধি, সদর (বরিশাল) ||

আষাঢ়ের শুরুতে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ডিঙ্গি নৌকার হাট বসতে শুরু করেছে। আশ্বিন মাস পর্যন্ত ৪ মাস সদর উপজেলার কড়াপুর এবং নবগ্রাম রোড সড়কের পাশের বিভিন্নখালে, স্বরুপকাঠীর আটঘর কুড়িয়ানা ও ইন্দেরহাট, মিয়ার হাট সহ ঝালকাঠী এবং বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলবে এই হাট।

হাটগুলোতে বেচাকেনা ইতি মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে কারিগররা। এ চার মাস তারা ব্যাস্ত সময় পাড় করে থকেন বলেও জানিয়েছেন। বরিশালের খাল-বিল, নদী-নালা বেষ্টিত এলাকা উজিরপুর, বানারীপাড়া ও আগৈলঝাড়ার সাতলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্যের একমাত্র বাহন নৌকা। জানা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা সবজি, ধান কাটা, বাগান থেকে পেয়ারাসহ, বিভিন্ন জাতের ফসল সংগ্রহ এবং বাজারজাত করার কাজে এই বিল অঞ্চলে নৌকার বিকল্প নেই।

আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে কাঠসহ নৌকা তৈরির উপকরনের অতিরিক্ত দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে নৌকা তৈরিতে খরচও বেড়েছে অনেকটাই। তবে সে তুলনায় হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতাদের কাছে নৌকার দাম তেমন বাড়েনি বলে জানান কারিগররা।

নিজস্ব পুঁজি না থাকার কারনে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারনে তারা তেমন দাম পায় না। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম নৌকারহাট স্বরুপকাঠীর আটঘরসহ আশপাশের বিভিন্ন নৌকা বিক্রির হাটগুলো এখন ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রায় দু’শ বছরের পুরানো বরিশাল ও ঝালকাঠির সিমান্তবর্তী আটঘর নৌকা কেনা বেচার হাটে বিক্রির জন্য জেলার বিভন্ন স্থান থেকে কারিগর এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নৌকা নিয়ে আসে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও গাড়িতে করে। এখান থেকে এসব নৌকা যাচ্ছে বৃহত্তর বরিশাল এবং ফরিদপুরের প্রত্তন্ত অঞ্চলে। প্রতি মৌসুমে এ হাটে এক থেকে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন