|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভোলা ||
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করায় মো. রুবেল নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক রুবেল উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের ছোট মানিকা এলাকার মুজাম্মেল হাজীর ছেলে।
মঙ্গলবার ১১ আগস্ট দুপুরে উপজেলার মানিকা বাজার থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার কুতবা ইউনিয়নের ছোট মানিকা এলাকার মো. সিরাজ নামের এক ব্যক্তি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার মো. রুবেল নামের এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষন করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোরহানউদ্দিন থানায় রুবেলকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আলোকে বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাইমিনুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রুবেলের সাথে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক আড়াই বছরের। এক পর্যায়ে প্রতিজ্ঞা করে তাদের আংটি বিনিময় হয়।
গত ঈদ-উল-আযহার আগে ঢাকায় বিয়ে হবে বলে তরুনীকে ঈদের ৪-৫ দিন আগে ঢাকা যেতে বলে। তরুণী ঢাকায় গিয়ে বিয়ের কথা বললে রুবেল একসাথে দেশে গিয়ে বিয়ে করবে বলে। পরে তরুণীর বাঁধা উপেক্ষা করে সে ৪ দিন তার সাথে দৈহিক মিলনে বাধ্য করে। ঈদের আগের দিন তার উভয়ে দেশে ফিরে আসে।
ঈদের দিন তরুণীকে রুবেল তাঁর বাড়িতে যেতে বলে। বিকেলে সে ওই বাড়িতে গেলে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন তার দিকে তেড়ে আসলে সে বাড়িতে চলে আসে। আবার পরদিন সকালে রুবেল তরুণীকে ফোনে বলে বাড়ির সবাইকে ম্যানেজ করেছি, তুমি আমাদের বাড়িতে চলে এসো।
বাড়িতে ঢোকার পর-পর রুবেল, তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন সহ ৭-৮ জন ছেলে ওই তরুণীর উপর হামলা চালায়। তাকে লাঠি সোঠা দিয়ে বেধম মারধর করে। এক সময় তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, মামলার আলোকে এক নম্বর আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।