|| অনলাইন প্রতিনিধি, লালমোহন (ভোলা) ॥
ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রায়চাঁদ বাজারের প্রধান সড়কটি খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এখন ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগে পরিনত হয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বাজারের অর্ধ সহস্র ব্যবসায়ীসহ রমাগঞ্জ ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ।
এ সড়ক দিয়েই লালমোহন সদরের সাথে দুই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত। অথচ একটুখানি বৃষ্টি হলে যানবাহন তো দুরের কথা, পথচারীদের হেঁটে চলাও দায়। রাস্তায় সৃষ্ট খাদায় পানি জমে থাকার ফলে এ বাজার বিমুখ হয়ে পড়েছে ক্রেতারা। আর ক্রেতাশূণ্য হয়ে একদিকে যেমন লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতাশূণ্যতায় প্রাণহীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাজারটি।
আল আমিন লাইব্রেরি এন্ড কাগজঘরের সত্বাধিকারী এনামুল হক রিপনসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে এ বাজারে আগের মত ক্রেতা আসেনা। এতে করে আমাদের কে ক্রতাশূণ্য হয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে বাজারটিতে কোন লোকজন না আসায়, যাত্রী না পেয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন যাত্রীবাহনগুলো।
ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক নসু পিটার, জাকির, শাকিল ও স্থানীয় অটো চালকরা বলেন, আমরা এ বাজারের স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী আনা নেয়া করি। রাস্তাটির করুণ দশার কারণে এ বাজারে এখন মানুষ তেমন আসেনা। তাই আমরাও যাত্রী না পেয়ে বেকার হয়ে পড়েছি।
এ বাজারের মধ্যেই অবস্থিত উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ রায়চাঁদ উদয়চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়। করোনাকালীন সময়ের পূর্বে খানাখন্দেপূর্ণ রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি মাড়িয়েই বিদ্যালয়ে আসতে হতো শিক্ষার্থীদের।
রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মিয়া বলেন, বাজারের রাস্তাটিতে পানি জমে থাকার ফলে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। নিজ অর্থায়নে কয়েকবার ইট ফেলেছি, পানি জমার ফলে তাও টিকেনা। বাজারের পানি নিষ্কাশনে গত বছর উপজেলা পরিষদ থেকে ড্রেণেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কাজ পেয়েছিলেন আঃ খালেক মাষ্টার। তবে এখনও কেন কাজ শুরু হচ্ছেনা, তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে রায়চাঁদ বাজার কমিটির সভাপতি আঃ খালেক মাষ্টার বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য ২লক্ষ টাকায় একটি কালভার্ট ও টলঘরের মেরামত কাজ পেয়েছি। কালভার্ট তৈরী করাও হয়েছে।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী রায়চাঁদ বাজারের প্রাণ ফেরাতে রাস্তাটির মেরামত করার দাবি ব্যবসায়ীসহ এ এলাকার সাধারণ মানুষের।