|| সারাবেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ ||
রাত পেরোলেই হবিগঞ্জ পৌর ভোট। পাঁচ বছর পর ভোট হওয়ায় দিনটিকে ঘিরে উৎসব আনন্দে মেতেছে পৌরবাসী। ভোটের দিনে সবার সঙ্গে দেখা হবে। ভোট দেবেন পছন্দের প্রার্থীকে।জীবিকার তাগিদে এলাকার বাইরে থাকতে হয় এমনসব মানুষ গ্রামে ফিরেছেন। আবার অনেকেই শেষমুহূর্তে অংশ নিয়েছেন নিজের প্রার্থীর প্রচারণাতেও।
রোববার ২৮শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পৌরসভার ২২ টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে চলবে ভোট। এবারই ইভিএমে প্রথম ভোট দেবেন প্রায় ৩ হাজার নতুন ভোটার। উৎসব মুখর পরিবেশে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি, গলি পাড়া-মহল্লা শুধু ভোট নিয়ে চলছে কথাবার্তা। কে হবেন পৌরপিতা, কে হবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ নিয়ে চায়ের কাপে তুলছেন বিতণ্ডার ধোঁয়া।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/20210227_123435-1.jpg?resize=1050%2C494&ssl=1)
পৌরসভায় মেয়র পদে, দলীয়, বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন ৬ জন প্রার্থী, এদের মধ্যে আলোচনায় প্রথমেই যে তিন প্রার্থী তারা হলেন, রিচি গ্রামের সন্তান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। নারকেল গাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। যিনি উমেদনগরের সন্তান। তারপরই যিনি আলোচনায় রয়েছেন তিনি হলেন বহুলা গ্রামের সন্তান বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এনামুল হক সেলিম ওরফে (সিটি সেলিম)। আরও যারা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, শামসুল হুদা (হাত পাখা) , বশিরুল আলম কাওসার (টেলিফোন), ও গাজী মোহাম্মদ পারভেজ হাসান (জগ)।
ভোটটা গোটা পৌরবাসীর হলেও এটি যেনো সদর উপজেলার রিচি, উমেদনগর, ও বহুলা গ্রামের মানুষের মর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখা দিয়েছে। কেননা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকা তিন প্রার্থীই এই তিন গ্রামের সন্তান। যারা কিনা জনপ্রিয়তার দিক থেকে সমানতালেই অবস্থান করছেন। তাই সর্বত্রই আলোচনা শেষ পর্যণ্ত কে করবেন কার গ্রামের মুখ উজ্জ্বল।
এ দিকে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ৪১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ১৭ জন। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডেই নতুন মুখ দেখতে চায় ওয়ার্ডবাসী। আর ভোটারদের এই চাওয়াকে পুঁজি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন একঝাঁক তরুণ প্রার্থী।
এদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন, আব্দুল আহাদ (উট পাখি), ৪ নস্বর ওয়ার্ডে সুমন দাশ হরি (উট পাখি), ৫ নম্বর ওয়ার্ড নূর হোসেন (গাজর), এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ্ সালাউদ্দিন আহমেদ টিটু (পানির বোতল)।
এতোদিনকার প্রচারপ্রচারণায় কোন প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় মিজানুর রহমান মিজানের কর্মী সমর্থকদের পুলিশী হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার, ও গ্রাম পুলিশ। সেইসাথে থাকছে স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট।
নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।