|| খায়রুল ইসলাম সাব্বির, হবিগঞ্জ থেকে ||
নিজের জন্য কিছু করতে চাই, এলাকার জন্য কিছু করতে চাই, নিজের এলাকা বেকার মুক্ত করতে চাই- এই মন্ত্র বুকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন হবিগঞ্জের মানিক-মিলি প্রবাসী দম্পতি। নিজেরদের অর্থায়নে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ধুলিয়াখাল গ্রামে অসহায় নারীদের জন্য গড়ে তুলেছেন আমিনা খাতুন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার। যেখানে বিনমূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে গ্রামের অসহায়, বিধবা, এবং যুবতী নরীদের।
অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ২ মাসে শেখাবেন প্রায় ৪০ ধরনের কাপড়ের সেলাই। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং দেয়া হবে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় এই প্রথম বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের জন্য এই উদ্যোগ নিলেন মানিক-মিলি প্রবাসী দম্পতি। যাদের এই উদ্যোগ ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে স্থানীয়দের।
জীবীকার তাগিদে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করেছেন এই দম্পতি। কিন্তু সূদুর প্রবাসে থাকলেও দেশের প্রতি মায়া কমেনি বিন্দু পরিমাণ। দেশের টানে বার বার ফিরে আসেন দেশের মাটিতে। অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নানাভাবে। অন্য প্রবাসীরাও তাদের এমনসব উদ্যোগের প্রশংসা করে বলছেন, ওদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
শনিবার ১৬ই জানুয়ারি প্রবাসী দম্পতির সপ্নের আমিনা খাতুন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ সদর ৩ আসনের আসনের সাংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি। এ সময় ধুলিয়াখাল গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ইউনুস মিয়ার সভাপতিত্বে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধুলিয়াখাল গ্রামের সন্তান তরুন সমাজ সেবক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এম শাখাওয়াত হোসেন খান।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধুলিয়াখাল গ্রামের মুরব্বি মো. সামছু মিয়া, মো. অনু মিয়া, ব্যবসায়ী মো. ছালেক মিয়া, মুরব্বি সিরাজ মিয়া, তোফায়েল আহমেদ সফিক,নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাজউদ্দিন তাজ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল, এম এ কাইয়ুম, সাদেকুর রহমান, মো. মালেক মিয়া, ধুলিয়াখাল তেমুনিয়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
এ সময় উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ধুলিয়াখাল প্রবাসী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই জন দরিদ্র রিকশা চালকের মাঝে ব্যটারি চালিত অটোরিকশা তুলে দেয়া হয়।
