সড়ক দূর্ঘটনায় দুইসন্তানসহ শিক্ষিকা খুনের বিচার দাবিতে সোচ্চারন সিরাজগঞ্জে

বাস-ট্রাকের চাপায় দুই ছেলে-মেয়েসহ শিক্ষিকা খুনের বিচার দাবিতে ক্ষুব্ধ প্রকাশ জানিয়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আয়োজনে প্রতিবাদি মানববন্ধন করা হয়। এতে শুধু শিক্ষকরাই নন, অংশ নেন শহরের সর্বস্তরের ক্ষুব্ধ মানুষ।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ ||

বাস-ট্রাকের চাপায় দুই ছেলে-মেয়েসহ শিক্ষিকা খুনের বিচার দাবিতে ক্ষুব্ধ প্রকাশ জানিয়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আয়োজনে প্রতিবাদি মানববন্ধন করা হয়। এতে শুধু শিক্ষকরাই নন, অংশ নেন শহরের সর্বস্তরের ক্ষুব্ধ মানুষ।

প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক ইফরাত সুলতানা দুই শিশু সন্তানমহ শহরের কালাচাঁন মোড়ে বাস ও ট্রাকের চাপায় নিহত হন। একে নিছকই দূর্ঘটনা নয়, খুন হিসেবে আখ্যায়িত করে বিচার দাবিতে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম, নিহত শিশুদের পিতা ও মামাসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন! তাঁরা এই তিনজনের নিহত হওয়াকে সড়কের বিশৃঙ্খলাজনিত হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চান। একইসঙ্গে শিক্ষক ও শিশু হত্যার বিচার দাবী করেন। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ মানব বন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঁচ দফা দাবীতে স্মারকলিপি দেন।

ছবি: সংবাদ সারাবেলাবাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি উদয় কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান ভুঞা, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সমাজ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অশীষ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কে.এম ছানোয়ার হোসেন, কল্যাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।

মানববন্ধন শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। মানববন্ধন থেকে ৫ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়। দাবীগুলো হচ্ছে-শিক্ষক ও তাঁর দুই শিশু সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে, ঢাকা-এনায়েতপুর-বেলকুচিগামী বাসস্ট্যান্ড শহর থেকে মিরপুর এ স্থানান্তর করতে হবে। দিনের বেলা শহরে ট্রাক-লড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। শহরের বিভিন্ন মোড় প্রশস্ত করতে হবে ও শহরের ভিতর দিয়ে আন্তঃজেলা বাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

প্রসঙ্গত, রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলশিক্ষক ইফরাত সুলতানা রুনী তার ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশায় শহরে যাচ্ছিলেন। পৌর এলাকার মিরপুর এসবি ফজলুল হক সড়কের কালাচাঁন মোড়ে পৌঁছলে কড্ডা থেকে সিরাজগঞ্জগামী যাত্রাবাহী একটি বাস সামনের একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে তাদের চাপা দেয়। এতে রিকশাটি ট্রাকের পেছনে দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই রুনী ও তার ছেলে ওয়াদী মারা যান। আহত হয় রিকশা চালক ও মেয়ে সয়ফা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক শিশু সয়ফাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।

সংবাদ সারাদিন