স্বাধীনতার দিনে রাজধানীতে ভ্রাম্যমান সঙ্গীতানুষ্ঠান

“এ বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। একইসঙ্গে এই বছরটি আমাদের স্বাধীনতার স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বিশেষ এই দুটি ক্ষণকে বিবেচনায় রেখে এবারে আমাদের ভ্রাম্যমান সঙ্গীত পরিবেশনায় আনা হয়েছে ভিন্নমাত্রা।”

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেশাত্মবোধক ও স্বাধীনতার গান পরিবেশন করছে গনযোগাযোগ অধিদফতরের শিল্পীদল।

শুক্রবার সকাল আটটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন এ্যাম্পিথিয়েটার গেইট থেকে শুরু হয় এই সঙ্গীতায়োজন। পরে একে একে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শাহবাগ চত্তর, জাতীয় প্রেসক্লাব, ফার্মগেইট, ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর শেখ রাসেল স্কোয়ার এবং মিরপুর এলাকায় গান গেয়ে শোনান অধিদপ্তরের শিল্পীরা।

ঢোল, তবলা, বাঁশি, হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একের পর এক দেশ ও স্বাধীনতার গান গেয়ে যান তারা। এসময়ে শ্রোতা দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

রাজধানীর এসব জায়গায় সঙ্গীত পরিবেশনের পর শিল্পীদল চলে যান হাতিরঝিলে। সেখানে এফডিসি গেইট থেকে শুরু করে তেজগাঁও, বেগুনবাড়ি, গুলশান, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা ও কুনিপাড়া এলাকাতে সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।  

এ প্রসঙ্গে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এ বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। একইসঙ্গে এই বছরটি আমাদের স্বাধীনতার স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বিশেষ এই দুটি ক্ষণকে বিবেচনায় রেখে এবারে আমাদের ভ্রাম্যমান সঙ্গীত পরিবেশনায় আনা হয়েছে ভিন্নমাত্রা।”

সঙ্গীতায়োজনের দায়িত্বে থাকা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (সঙ্গীত) জাকিউল হাই জানান, “তথ্য মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে আমরা এ সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এখানে যারা গান গাইছেন তারা সবাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব স্টাফ। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে এসব শিল্পী ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে থাকেন।”

তিনি আরও বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমরা সকাল ৮টা থেকে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান শুরু করেছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের এ অনুষ্ঠান চলবে। আমরা রাজধানীর প্রতিটি অঞ্চল ঘুরে ঘুরে গান পরিবেশনের চেষ্টা করব।’  

সংবাদ সারাদিন