স্থানীয় যানবাহনের এলইডি লাইটে ঝুঁকিপূর্ণ রাতের লালমনিরহাট

এলইডি হেডলাইটের যানবাহনের চালকেরা ভালোভাবে দেখতে পারলেও বিপরীতমুখি যে কোন যানবাহন চালকেরা কিছুই দেখতে পারেন না। ফলে যত্রতত্র ঘটছে দূর্ঘটনাও।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট ||

অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, ও মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন স্থানীয় যানবাহনে এলইডি লাইট ব্যবহার করায় জেলার পাঁচ উপজেলার সড়ক ও বুড়িমারী মহাসড়কে রাতের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গ্রাম থেকে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। এই সকল যানবাহনের সামনের হেডলাইট হিসেবে যত্রতত্র যুক্ত করা হয়েছে এলইডি লাইট। রাতের আধার নামলেই ওই লাইটের কারণে বিপরীতমুখি যানবাহন চালকেরা কিছুই দেখতে পারছেন না। ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বড়ধরণের দুর্ঘটনার আর প্রাণহরণের।  

স্থানীয়রা বলছেন, রাতের অন্ধকার নামলেই এলইডি লাইটের এসব অটোরিকশা  ও ভ্যানগাড়ির বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চালকের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। দ্রুত ধেয়ে আসা এই লাইটের যানবাহনের দিকে চোখ পড়লেই চোখ ধাঁধানো আলোয় সামনের দিকের আর কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যায়না।

এলইডি হেডলাইটের যানবাহনের চালকেরা ভালোভাবে দেখতে পারলেও বিপরীতমুখি যে কোন যানবাহন চালকেরা কিছুই দেখতে পারেন না। ফলে যত্রতত্র ঘটছে দূর্ঘটনাও। জেলার পাঁচ উপজেলায় সর্বত্র দিন দিনই বাড়ছে এই ধরনের এলইডি লাইটের যানবাহনের সংখ্যা।

রাতের ব্যস্ততম মহাসড়ক বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাটসহ প্রায় বিভিন্ন উপজেলার রাস্তায় চলাচলকারী প্রতিটি অটোভ্যান, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, নসিমন, করিমনসহ অন্যান্য স্থানীয় যানবাহনেই রয়েছে এলইডি লাইট। এই লাইটের আলোর কারণে শুধু চালকরাই নয়, পথচারীরাও থমকে যায়। একটু সতর্ক না হলেই ঘটে যায় দূর্ঘটনা। 

স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যার পরে ভ্যান-রিকশা ভ্যানের বডির নিচে অবশ্যই হারিকেন বা সামনে কৌটার ভিতর ল্যাম্প (যাকে স্থানীয়রা টেমি বলে থাকেন ) জ্বালিয়ে চলাচলের কঠিন নির্দেশ মানতেন চালকরা। আজ আর সেটা দেখা যায় না।

বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, এলইডি লাইটের আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখাসহ ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

মানুষের স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা ঠেকাতে যানবাহনের এমন এলইডি লাইট ব্যবহার বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের।

সংবাদ সারাদিন